মোংলা সমুদ্র বন্দরের গতি বাড়াতে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

0
296

বাগেরহাট প্রতিনিধি: আঞ্চলিক দেশ সমুহের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বজায় রেখে আমাদনী-রপ্তানী বানিজ্যে গুরুত্বপর্ণ অবদান রাখতে মোংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমাদনী-রপ্তানি বৃদ্ধিরসহ এ বন্দরের গতি বাড়াতে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে মোংলা বন্দর চ্যানেল আউটারবারে ড্রেজিং কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন কালে এ কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন-একসময়ের মৃত প্রায় এ বন্দর এখন শুধু গতিশীল নয়, এ বন্দরকে ঘিরে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
চলমান এ গতি ধরে রাখতে প্রথম বারের মতো আউটারবারে ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। আর এ ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের পণ্যবাহী বানিজ্যিক জাহাজ সরাসরি মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হংকং রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি চীনা কোম্পানী মোংলা বন্দরের প্রবেশ মুখে এ্যাংকারেজ পর্যন্ত ড্রেজিং কাজ করছে। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একনেকে এ প্রকল্পটি অনুমোদনের পর দরপত্রে কাজ পাওয়া ওই প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ফেব্রুয়ারীতে ডাইক নির্মানসহ খনন কার্জ শুরু করে। ইতিমধ্যে মোট কাজের ২৪ শতাংশ খনন কাজ করেছে চীনা ওই প্রতিষ্ঠানটি। দুপুরে স্পীট বোঢ যোগে ড্রেজিং কাজের অগ্রিগতি দেখতে মোংলা বন্দরের অদূরে আউটারবার এলাকা পরিদর্শনে করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। ড্রেজিং এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী সুন্দরবনের সমুদ্র ঘেষা হিরন পয়েন্টের লেষ্টহাউজে রাতযাপন করবেন এবং রবিবার দুপুরে মোংলা বন্দরে পৌছানের কথা রয়েছে তার।
নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, যুগ্ন সচিব রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হকসহ বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সাথে রয়েছেন।