‘মোংলা বন্দরে খুলনা শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য নয়’ সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের দাবি

0
866

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মোংলা বন্দরে পণ্যবাহী যান থেকে খুলনা শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-৬২২) এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বকস্ দুদু। গতকাল শনিবার বেলা ২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-৬২২) একটি ঐতিহ্যবাহি সংগঠন। বিগত প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে খুলনা বিভাগ জুড়ে এই সংগঠনটি শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। তবে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সম্প্রতি নাম সর্বস্ব কতিপয় নেতা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে এই সংগঠনের উপর অপবাদের কালিমা লেপে দিয়েছেন। এসময় খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কাজী মোঃ সরোয়ার হোসেন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: নং ১৪১২) সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু সাইদ, বাগেরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক লিপন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক, লরী, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে কার্য্যকরী সভাপতি কাজী আবুল হাসান বলেছেন, মোংলা বন্দরে পণ্যবাহী যান থেকে খুলনা শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজি চলছে। প্রকৃতপক্ষে যা সত্য নয় এবং এখানে খুলনা শ্রমিক ইউনিয়ন নামে আদৌ কোন সংগঠন নেই। মূলত: খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিষ্ট্রেশন নং-৬২২) ও বাগেরহাট জেলা ট্রাক, ট্র্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিষ্ট্রেশন নং-১৪১২) যৌথভাবে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও সংগঠনের ব্যয় মেটাতে মোংলার দ্বিগরাজ পয়েন্টে পণ্যবাহী যান থেকে নিয়মিত রশিদের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়। এই অর্থের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে কর্মরত দুই ইউনিয়নের ৪৬ জন কর্মচারীকে দৈনিক গড়ে ৫শ’ টাকা বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় এবং অবশিষ্ট অর্থ দুই ইউনিয়নের তহবিলে জমা করা হয়। যা শ্রমিকদের কল্যাণেই ব্যয় হয়। এছাড়া দুই ইউনিয়নের এই ৪৬ ন শ্রমিক অতিরিক্ত শ্রম হিসেবে মোংলা বন্দর হতে ইপিজেড পর্যন্ত সকল কোম্পানীর গাড়ির সিরিয়াল মেইনটেইন, কোম্পানীর বাইরে সড়কে নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আব্দুর রহিম বকস্ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগে বলা হয়েছে- প্রতিদিন ৫ শতাধিক ট্রাক লরী, কাভার্ডভ্যান থেকে লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। যা সত্য নয়। পণ্য লোড-আনলোড মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ গাড়ি মোংলা বন্দরে যাতায়াত করে। এরমধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ গাড়ি খুলনার এবং খুলনার শ্রমিকেরাই সেখানে পণ্য লোড-আনলোডের কাজে নিয়োজিত। এখানে আমাদের শ্রমিকদের কাছ থেকে আমরাই সংগঠনের কল্যাণে টাকা আদায় করে আসছি এবং শ্রমিকের প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক অর্ধ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহযোগিতা প্রদান করা হয়। তা মধ্যে ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত কোন কোম্পানীর গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করা হয় না। যেমন: মেঘনা, সেনা কল্যাণ সংস্থা, ফাইভ রিংস সিমেন্ট ইত্যাদি। সংবাদ সম্মেলনে একাংশে প্রতিটি ট্রেলার থেকে ১৫০ টাকা অবৈধ চাঁদা আদায় করা হয় বলা হলেও এটি নিছক মিথ্যা তথ্য।
তিনি অভিযোগ করেন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক, লরী, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতির মধ্যে নাম এসেছে মাত্র চারজন ব্যক্তির। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য এমন কেউ নেই, যারা দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক রাজনীতির সাথে যুক্ত। এমনকি এদের মালিকানাধীন কোন ট্রাকও নেই। ওই ব্যক্তিরা মোহরা হিসেবে কাজ করছে, এর আড়ালে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বিগরাজ পয়েন্ট থেকে আদায় করা অর্থেও একাংশ দাবি করে আসছে। যা না পাওয়ায় এমন সংবাদ সম্মেলন করে বদনাম রটানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী-কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক লিপন, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মোঃ সরোয়ার হোসেন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী-কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান খান, বাগেরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী-কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু সাইদ উপস্থিত ছিলেন।