মোংলা বন্দরে আসছে না সিরামিকের কাঁচামাল, অবতরণ ফি মওকুফ দাবি

0
322

খুলনাটাইমস প্রতিবেদক:
খুলনা বিভাগসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেও নির্মাণ কাজের জন্য অন্যতম উপাদান সিরামিক কারখানার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে খুলনা অঞ্চলে সিরামিকের দামও বেশী পড়ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন সিরামিকের কাঁচামালের উপর থেকে লান্ডিং চার্জ মওকুফ বা কম করা হলে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আরও বেশী কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে এই অঞ্চলের অর্থনীতির চাকার আরও বেশী সচল হবে।
দেশের দুই প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের দ্বৈত নীতির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন এই অঞ্চলের আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ন্যায় মোংলা বন্দরের অবতরণ ফি (ল্যান্ডিং চার্জ) মওকূফের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, খুলনা অঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ ও বাগেরহাটে দুটি সিরামিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ রয়েছে। তাদের বিদেশ থেকে আমদানী করা কাঁচামাল মোংলা বন্দরের পরিবর্তে খালাস করতে হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। সেখান থেকে আবার সড়ক পথে কাঁচামাল আনতে হয় কারখানায়। যা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু মোংলা বন্দরে যদি কোন ল্যান্ডিং চার্জ না নেয়া হতো তাহলে এই বন্দরের মাধ্যমেই সমস্ত কাঁচামাল আনা সম্ভব ছিলো। এতে করে মোংলা বন্দরের আরও বেশী জাহাজ আসতো। আর এতে করে মোংলা বন্দরের গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি পেতো। মোংলা বন্দরে সিরামিকের কাঁচামালের জন্য টনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। একই সাথে ১৫ ভাগ ভ্যাট। সব মিলিয়ে মোংলা বন্দরে এক টন মাল আসলে একজন আমদানীকারককে গুণতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা।
খুলনার স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ম্যাক্স শিপিং রে সত্ত¡াধিকারী কামরুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরে ল্যান্ডিং চার্জ মওকূফ করা হলে এখানে জাহাজের আগমন আর বেশী হতো। বার্জ মালিকসহ এই কাজের সাথে জড়িতরা উপকৃত হতো। খুলনা অঞ্চলের ঘাটগুলো থেকে আরও বেশী রাজস্ব আদায় হতো। রেলওয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পন্য পরিবহন হতো এবং রেলওয়েও লাভবান হতো। কিন্তু জাহাজ কম আসায় তা হচ্ছে না।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, এই বিষয়ে যদি কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলনে, মোংলা বন্দর সৃষ্টির পর থেকেই ল্যান্ডিং চার্জ চলমান আছে। এই আয় থেকে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও পেনশন দেয়া হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান আরও বলনে, চট্টগ্রাম বন্দররে সাথে মোংলা বন্দররে তুলনা করলে তো হবে না, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতি মাসে যেখানে ৩০০টি জাহাজ আসে, সেখানে মোংলা বন্দরে আসে মাত্র ৬০/ ৭০টি।