মুড়ির বস্তার মত মিলছে সরকারি বস্তা ভর্তি কলিগঞ্জ গুদামের সরবরাহের চাল

0
565

 

দেবহাটা প্রতিনিধি : বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকদের উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষকের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করার কথা থাকলেও কিছু অস্বাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য অসৎ পথ অবলম্বন করে চলেছে। তাদের এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন সুকৌশলে। দু’একজন ধরা পড়লেও বাকিরা রয়েছেন ধরাছোয়ার বাহিরে। এই চক্রের এক সদস্য ৩১৭ বস্তা নি¤œমানের চাল গুদামে সরবাহ করার নিয়ে গেলে ফেরত দেয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। তিনি এ নি¤œমানের চাল নিয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় মোমপালিশ করার উদ্দোশ্যে রওনা হলে দেবহাটা সখিপুর লাইট হাউজ এলাকা থেকে ধরা খান প্রশাসনের হাতে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন। পরে ঐ ব্যবসায়ী কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নলতা গ্রামের আব্দুল্লা খানের পুত্র শহিদুল ইসলাম স্বীকারউক্তিতে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন তথ্য। এদিকে, একই দিন সকালে সখিপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম সরকারি লেবেলে দেওয়া প্রায় ১৫০ বস্তা চাউল কালিগঞ্জের বসন্তপুর গুদামে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয় জানতে পেরে মাল আবার গোডাউনে টুকিয়ে দেন তিনি। তার কাছে সরকারি লেবেল করা বস্তায় চাল পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হয়ে ওঠেন। এমনকি একটি ভূয়া স্লিপ দেখিয়ে গুদামে চাল পাঠানো হচ্ছে বলে জানান। কিন্তু এ বিষয়ে ঐ গুদামের যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না বলে দাবি তার। অপর এক ব্যবসায়ী ভাড়াশিমলা এলাকার জামিরুল ইসলাম চাল উৎপাদন না করে যত্রতত্র ভাবে বাহিরের আমদানি করা ২২০ বস্তা চাল গুদামে পাঠালে কর্তৃপক্ষ সেটি গ্রহন করেননি। তবে সরকারি বস্তা সংগ্রহ করে অবৈধ ভাবে চাল সরবাহ করে প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নি¤œমানের চাল সরবাহ করে সরকারের টাকা আতœসাত করা হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। তবে এ সব চাল কালিগঞ্জ খাদ্য গুদামে দেওয়ার জন্য ঐ উপজেলার বিভিন্ন মিলার সাতক্ষীরার খানপুর ,দেবহাটা পারুলিয়া, যশোরের ঝাউডাঙ্গা সহ বিভিন্ন মোকাম থেকে নিয়ে আসেন বলে জানাযায়। মিলারদের নিজেদের চাল তৈরী করার কথা থাকলেও সেটা না করে এসব অবৈধ পথে নি¤œমানের চাল গোডাউনে সরবরাহ করে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য এ কাজ করে মিলাররা ।