মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে

0
583

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেছেন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০০১ ও ২০১৪ সালের সহিংসতার পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া হবে না। এজন্য দেশের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬১ এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এসব এলাকায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও আশ্বাস দিয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহবান জানিয়েছি, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার জন্য। তিনি আসন্ন নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র নাথ সেন এর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তৃতা করেন সুপ্রিম কোর্ট-এর প্রাক্তন বিচারপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
এসময় তিনি বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, গণমাধ্যমে খবর পেলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাকিস্তান দূতাবাসে মিটিং করেছে। আর লন্ডনে তারেক রহমান পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে গোপন বৈঠকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এটা নতুন কিছুই নয়; এর আগেও কমল (জিয়াউর রহমান) এর সাথে পাকিস্তানী জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যা বিভিন্ন সময়ে বইয়ে উঠে এসেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রতিটি নেতাকর্মীর মনে পাকপ্রীতি। তারা পাকিস্তানী কায়দায় দেশে জঙ্গি উত্থান ঘটাতে চায়। এগুলো প্রতিরোধ করতে তরুণ সমাজকে জেগে উঠতে হবে।
বিচারপতি মানিক বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে যে বিচারপতি খালেদা জিয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন; তিনি সংবিধান লংঘন করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পূর্ণাঙ্গ রায় খালেদার বিপক্ষেই দেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, জাসদ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, ইঞ্জিনিয়ার আঃ জব্বার শেখ প্রমুখ।