মিথ্যা মামলায় স্কুল শিক্ষক পিতা-মাতার সাথে সন্তানসহ স্বজনরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে

0
305

কপিলমুনি প্রতিনিধি: জমি খরিদের ১৭ বছরেও দখল বুঝে পায়নি পাইকগাছার নগরশ্রীরামপুরের স্কুল শিক্ষক সুফিয়া খাতুন। দখলদাররা খরিদা সম্পত্তির জবর দখলের পরও উপরন্তু মিথ্যা অভিযোগে সুফিয়াসহ তার স্কুল শিক্ষক স্বামী,স্বজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলায় হয়রাণি করছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।
অভিযোগে জানাগেছে,পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী নগর শ্রীরামপুরের মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক আবু বকর হাজরার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ২০০২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী নগরশ্রীরামপুর মৌজার জেএলনং -১৬,আর এস খতিয়ান ৪২৭ এর ২২৬ দাগের ৯০ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৭ শতাংশ,২২৭ দাগের ৮৬ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৭ শতাংশসহ মোট সাড়ে ১৪ শতাংশ জমি খরিদ করে গত ২৩ বছরের খাজনা পরিশোধপূর্বক সর্বশেষ জরিপে ৪২৭ খতিয়ানে একক নিজ নামে রেকর্ড সংশোধন করেছেন। তবে জমি খরিদের দীর্ঘ ১৭ বছরে তিনি মাত্র ৫ শতাংশ জমির দখল বুঝে পেলেও বাকী সাড়ে ৯ শতাংশ জমির দখল বুঝে পাননি। বিক্রেতাদের বিভিন্ন শরীকগণ সংঘবদ্ধ হয়ে তার খরিদা সম্পত্তির জবর দখল করেছেন বলে ইতোপূর্বে স্থানীয় শরীক,জনপ্রতিনিধি ও সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংসদ সদস্য বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক মিমাংসার জন্য স্থানীয় হরিঢালী ইউনিয়ন আ’লীগের আহ্বায়ক শেখ বেনজীর আহম্মেদ বাচ্চুর নিকট দায়িত্ব দেন। শেখ বেনজির আহম্মেদ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ উভয় পক্ষকে সাথে নিয়ে নিরপেক্ষ সার্ভেয়ারদের দিয়ে জরিপ করে জমির সীমাণা নির্দ্ধারণ ও নক্সা প্রস্তুত করলেও দখল বুঝে দিতে পারেননি।
এদিকে নিশ্চিত জমির মূল মালিকদের অনুকূলে চলে যাচ্ছে এমনটি বুঝতে পেরে দখলদাররা সংঘবদ্ধ হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনাবলীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দখলদারদের একজন মৃত শামছুর আলী গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ গাজী বাদী হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর পাইকগাছা থানায় নগরশ্রীরামপুরের মো: আমজেদ আলী গাজীর ছেলে শাহিন গাজী (৩৫) কে প্রধান করে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুফিয়া খাতুন (৬০),তার স্বামী মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক আবু বক্কার হাজরা(৬৫),ছেলে সুজন হাজরাসহ ১০ জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যার নং-১৯।
এদিকে প্রকৃত জমির মালিকানা বুঝে না পেয়ে এর মালিকরা যেখানে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর গোটা দেশ যখন বিজয়ের উৎসব করছে,ঠিক তখন মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে স্কুল শিক্ষক পিতা-মাতা ও সন্তানসহ স্বজনরা মামলার খড়গ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভূক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।