মিঠা খালী সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার শিক্ষককে হুমকী ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ

0
140

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ই¯্রাফিল হাওলাদারের বিরুদ্ধে এবার এক শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রকাশ্যে হুমকী ও গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোংলা উপজেলার সাতপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মহিদুল ইসলাম। চেয়ারম্যান ই¯্রাফিল হাওলাদারকে জামায়াতের ছাত্র শিবিরের ক্যাডার আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক শেখ মহিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান ই¯্রাফিল হাওলাদার ছিলেন বিএনপির আমলে জামায়াতের ছাত্র শিবিরের ক্যাডার। আওয়ামী লীগ কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে রাতারাতি সে আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান। ছাত্র শিবিরের ক্যাডার থেকে হয়ে যান মোংলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে। ইউপি সদস্য আশিষ হাওলাদারকে সাথে নিয়ে টেন্ডারবাজি, সরকারি জায়গা দখলসহ নানা অনিয়ম র্দূনীতির মাধ্যমে রাতারাতি বনে যান ধনকুবের। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তার উপর চলে অত্যাচার-নির্যাতনের। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহশ পায় না।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকার অসহায় নিরীহ মানুষের উপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসচ্ছে। সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখল করেছে। বিভিন্ন সময় তার এ অপকর্ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে আমাকে প্রকাশ্যে হুমকী ও গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করে। এসময় চেয়ারম্যান আমার ছেলে ও আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকী দেয়। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে তাকে ও মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে তিনি দলীয় নেতাসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এর আগে, সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যান ই¯্রাফিলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন মোংলা উপজেলার ধনখালী গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডল। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডল পালিয়ে বেড়াচ্ছে।