মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী নারী আইনজীবীকে নৃশংসভাবে খুন!

0
450

বিশেষ প্রতিনিধি : মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশী এক নারী আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরো করে লাগেসের ভেতর ভরে ডোবায় ফেলে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী। সাজেদা ই বুলবুল (২৯) (BA0732570- passport number) নামে ঐ নারী আইনজীবী পটুয়াখালির সদর পুরাতন আদালতপাড়ার মো: আনিস হাওলাদারের (ফিটার) কনিষ্ঠ কন্যা। গত ৫ জুলাই স্ত্রীকে নৃশংস হত্যার পর ঘাতক স্বামী শাহজাদা সাজু পালিয়েছে। মালয়েশিয়া পুলিশ তাকে খুঁজছে। নিহত সাজেদা ই বুলবুলের বোন উপমা ফারহান জানান, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এলবি এবং এল এম পাশ করেন তার বোন সাজেদা। পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাব ফকিরের পুত্র শাহজাদা সাজুর সাথে বিয়ে হয় সাজেদার। তাদের সংসারে মুগ্ধ নামের সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘাতক শাহজাদা তার স্ত্রীকে উচ্চতর পড়াশুনা করার প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মালেয়েশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ তৈরী করে দেয়নি।

উপমা ফারহান আরো জানান, নিয়মিত নির্যাতন করা হতো তার বোনের উপর। তাকে দুই তিন দিন পর পর খাবার দেয়া হতো। এসব ঘটনা সাজেদা তার বাবা মাকে মাঝে মাঝে জানাতো। এক পর্যায়ে সাজেদার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে শাহজাদা। বাংলাদেশ থেকে নির্যাতনের জন্য শাহজাদাকে উস্কে দিতো তার মা, মামা সহ অন্যানরা।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদার নির্যাতন সইতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাসায় পলিয়ে যায় সাজেদা। সেখানে ২/৩দিন থাকার পর শাহজাদা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে পূনরায় তাকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনে। এর পর পরই নৃশংস খুনের শিকার হয় সাজেদা। ঘাতক শাহজাদা নৃশংসভাবে খুনের পর সাজেদার লাশ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পুলিশ লাগেজ ভর্তি লাশ উদ্ধার করে। এদিকে সাজেদার খুনের ঘটনায় তার পরিবার জানার পর শোকের মাতম দেখা দিয়েছে।