মাদক ব্যবসা মুল হোথা, অর্থেও যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে হবে

0
128
গণপরিবহনে নারী হয়রানি অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না কেন?

টাইমস সম্পাদকীয়: মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার রোধে মাদক দ্রব্য গ্রহণ, পরিবহন ও হস্তান্তরের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা রয়েছে সরকারের পক্ষ-থেকে। আগে মদ ও গাজাকে মাদক হিসেবে বিবেচনা করলেও সময়ের ব্যবধানে নানা নামে নানা মাদক এখন মাদকসেবীদের আকৃষ্ট করছে। ভারত থেকে একসময় ফেনসিডিল আসতো এরপর মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে। এরপর শিশা, আইস ও এলএসডির পর এখন ইউরোপ থেকে আসছে ডিওবি (ডাইমেথক্সিব্রোমো অ্যাম্ফেটামিন)। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অনেকাংশই মাদকের ছোট বড় চালান আটক করতে সমর্থ হলেও এ ব্যবসার সাথে যুক্ত মূল ব্যক্তিদের ব্যাপারে কোনও সূত্র উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা মাদক ব্যবসার মূল হোতা, অর্থের যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষক তাদের চিহিৃত করতে না পারায় মূলত মাদকের কারবার বন্দ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ২০১৯ থেকে ২০২১ তিন বছরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১৭টি থানায় দায়ের করা ৫৩ টি মামলা ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২টি মোট ৫২ টি মামলার দ্রজাহার ও আদালতে দেওয়া অভিযোগ পএের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিএ পাওয়া গেছে। মাদক দ্রব্য আটকের সময় শোনা যায় ঘটনার সাথে সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত রয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে নতুন করে মাদক উদ্ধার, এর উৎস, অর্থের যোগানদাতা, মূল হোথা ও পৃষ্ঠপোষকদের নাম জানতে বার বার নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হলেও কোনও দল আসছেন। ফলে-বাহকের নামে অভিযোগ পএ দিতে হয়। ওপরিউক্ত ৫৫ মামলায় প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করে ২০০ দিন রিমান্ডের আবেদনে করেন তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু আদালত ৬৬ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করলেও নতুন কোনও কাউকে গ্রেফতার বা মাদক উদ্ধার করতে পারেন নি তদন্ত কর্মকর্তা। রাজধানীতে গড়ে প্রতি মাসে মাদকসংক্রান্ত ১৫০০ মামলা হয় তবে অধিকাংশ ক্ষেএেই মাদকের উৎস জানা যায় না। ফলে ২০২০ সালের শেষের দিক শুধু সরবরাহ কারী, খুচরো বিক্রেতা নয়, মামলার তদন্তে মাদকের উৎস খুঁজে বের করার নির্দেশ দেয় ডিএমপিই কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখন পন্থি মাদক ব্যবসার মুল হোথা, অর্থেও যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকের নাম জানা সম্ভব হয় নি। বরং গাজা নামের শারীরিক ক্ষতিকর নানা মাদক দেশে আসছে এবং মাদক সেবন চলছে। এটা বন্দ হওয়া উচিত। অবশ্য দেশের গণমাধ্যম গুলোতে রাজনীতিতে প্রভাবশালী এবং সাংসদের কারো কারো মাদক ব্যবসা বা পৃষ্ঠপোষকতার কথা প্রকাশ পেলেও তার সভ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে মাদকের সাথে প্রভাবশালী একটি মহল যুক্ত, তানা হলে এটা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা কেন? তবে আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য মাদকের ঘাতক কারবার বন্ধের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য এ কারবারের সাথে মুল হোথা, অর্থের যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তানা হলে শুধু বাহককে গ্রেফতার ও শাস্তি দিয়ে মাদক ব্যবসা বন্দ করা যাবে না।