মহসিন মোড়-শাহপুর সড়ক বেহাল : দুর্ভোগ চরমে

0
845

আহাদ আলী, আড়ংঘাটা থেকে:
নগরীর দৌলতপুর মহাসিন মোড় থেকে শাহপুর আঞ্চলিক সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। অনেক জায়গাতে মাটির অংশও দেবে গেছে। বেশিরভাগ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এ সড়কে যানবাহন চলাচল করা শুধুই ভোগান্তি। এমনকি, ছোট পরিবহণে যাতায়াত করাই দুরূহ হয়ে উঠেছে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এতে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
আঞ্চলিক এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মজীবী মানুষ উপজেলা থেকে সদরে যাতায়াত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দুরাবস্থা বজায় থাকলেও সড়কটি সংস্কারে কারও সুদৃষ্টি পড়েনি। ফলে কয়েক বছর ধরে সড়কের এ বেহাল দশা বজায় রয়েছে। কিন্তু এটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর বাজার থেকে দৌলতপুর মহাসিন মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কটি ঘুরে দেখা গেলো বেহাল অবস্থা।
সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙে মাছের ঘেরের মধ্যে পড়েছে। দুই পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে কোনোমতে টিকে আছে এ সড়কটি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডাকাতিয়া বিলের মাঝ দিয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা সড়ক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর পুনরায় আর সংস্কার করা হয়নি। যে অংশে পিচ উঠে যায়, সেই অংশে কার্পেটিং করা হয়।
দিন দিন সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সড়কটি দিয়ে ভারি কোন যানবহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে মহসিন মোড় থেকে কৃষি কলেজ সড়ক পর্যন্ত হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বস্তায় মালামাল নিয়ে ভ্যানে যাচ্ছিলেন শলুয়া গ্রামের কালি দাস। তিনি বললেন, ‘মেলা দিন (দীর্ঘদিন) রাস্তার কাজ করে না সরকার। রাস্তার কি অবস্থা হয়ে গেছে, রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না’। একই গ্রামের নূরজাহান ও নাসিমা বেগম জানান, ছেলে মেয়ে নিয়ে স্কুলে যেতে খুব সমস্যা হয়। এভাবে আর কত দিন চইলব আল্লাই জানে।
ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় গর্তের মধ্যে ইজিবাইকের চাকা আটকে যায়।
ডুমুরিয়া উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান, রাস্তা নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ ছাড় পেলেই চলতি বছরে কাজ শুরু করা হবে।