মধুমতির ভাঙনে বিলীন হতে বসেছে শৈলদাহ বাজার

0
762

হাবিবুল্লা খান হাবিব, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতি নদীর অব্যাহত ভাঙন দিনদিন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে উপজেলার মধুমতি নদী সংলগ্ন শৈলদাহ বাজারসহ আশপাশের অসংখ্য বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়বাড়িয়া ও কলাতলা ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবহমান মধুমতি নদীর ভাঙন দিনদিন তীব্র আকার ধারণ করেছে । এ পর্যন্ত ভাঙনে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার পৈত্রিক বসতবাড়ি হারিয়ে এখন বাঁচার তাগিদে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশের খাস জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

 

শৈলদাহ বাজারের ব্যবসায়ী শাহ আলম শেখ, শাহাদাৎ হোসেন, রহমান শেখ, মোমরেজ খান, লিন্টু খানসহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে জানান এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে নদী পাড়ের দোকানপাট, ঘরবাড়ি টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বিগত দিনে মধুমতি নদীর ভাঙনে বাজার ব্যবস্থানা কমিটির অফিসসহ প্রায় ২০-২৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অসংখ্য বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের প্রায় ২০-২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা চরম হতাশায় রয়েছেন।

এছাড়া ভাঙন কবলিত বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বিধবা শরীফা বেগম কান্ন্াজড়িত কন্ঠে বলেন, বাপ-দাদার কবরসহ আশপাশের প্রায় ৫০টি কবর ও অনেক মূল্যবান গাছপালা, ঘর-বাড়ি এবং জায়গাজমি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন তারা।

এ ব্যপারে স্থানীয় কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, মধুমতির ভাঙনের ভয়াবহতা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে অতি দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে শৈলদাহ বাজারটি যে কোন সময় নদীগর্ভে পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙন কবলিত স্থানে সরকারী অনেক লোক অনেকে ঘুরে গেছেন। এটি রক্ষার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কোন সাড়া মিলছে না। এছাড়া বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তরে বার বার অবহিত করলেও ভাঙন রোধে এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।