মংলা বন্দরে কার্গো-কোস্টার জাহাজে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ডাকাতি

0
488

খুলনা টাইমস ডেস্ক:
একের পর এক মংলা বন্দরে কার্গো-কোস্টার জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫টি জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতেও বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় একটি কোস্টার জাহাজে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা এমভি রাফিদ-০১ নামে ওই জাহাজের কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নিয়ে যায়। ফলে বন্দরের নৌযান শ্রমিক-কর্মচারী ও মালিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় মোংলা বন্দর এলাকায় জাহাজে ডাকাতি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পশুর চ্যানেলসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সব নৌ রুট অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। মোংলা বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে আসা বড় বড় বিদেশি জাহাজ মূলত পণ্য খালাসের জন্য বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ায় অবস্থান নিয়ে থাকে। তারপর সেখান থেকে আমদানি পণ্যগুলো কার্গো-কোস্টারে পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেয়া হয়। বিদেশি জাহাজগুলো থেকে পণ্য নেয়ার জন্য হাড়বাড়িয়া এলাকায় সব সময়ই কার্গো- মংলা বন্দরে কার্গো-কোস্টার জাহাজে
সারি থাকে। গত শুক্রবার রাতে হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে হাড়বাড়িয়া-০৮-এ নোঙর করে এমভি রাফিদ-০১ নামক কার্গো জাহাজটি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল ওই জাহাজে উঠে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে নগদ ১৮ হাজার টাকা, ৭টি মোবাইল ফোন, ১০০ লিটার ডিজেলসহ অন্যান্য মালামাল (চাল, ডাল, তেল, মসলা) লুট করে নিয়ে যায়। জাহাজটিতে মাস্টারসহ ১৩ জন স্টাফ ছিলেন। এ ঘটনায় মোংলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় একের পর এক কার্গো-কোস্টার জাহাজে ডাকাতির ঘটনায় ওই রুটে চলাচলকারী নৌযান শ্রমিক-কর্মচারী ও মালিকদের মধ্যে দস্যুতা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় নদীপথে নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দস্যুতা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে নৌশ্রমিকরা পশ্চিমাঞ্চলের সব নৌ রুট অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে এমন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. হায়াত ইবনে সিদ্দিক জানান, এ ধরনের কোনো খবর কোস্টগার্ডকে কেউ দেয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হতো। এরপরও মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় দস্যুতাসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে কোস্ট গার্ডের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।