মংলায় ফাদার রিগন মেলা

0
376

মাহমুদ হাসান, মংলা থেকে:
জীবন-যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে ফাদার রিগন এদেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ফাদার রিগনকে বাদ দিয়ে মংলার কোন শিক্ষা উন্নয়নের চিন্তা করা যায়না। রিগন মেলার মাধ্যমে এদেশে ফাদার রিগনকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখতে হবে। (২৩ ফেব্রæয়ারি) শুক্রবার বিকেলে মংলার হলদিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চত্বরে ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী ফাদার রিগন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি এ কথা বলেন।
ফাদার মারিনো রিগনের ৯৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী রিগন মেলার উদ্বোধন করেন মংলা-রামপাল সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’র সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস। এ সময় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম, সুজন’র সভাপতি ফ্রান্সিস সুদান হালদার,বাবু অষিত বাড়ই ঘোষ, অধ্যাপক খুলনা বিএল কলেজ,এ এম কামরুল ইসলাম, পিপিএম,(এডিসি ডিবি) খুলনা, লন্ডন প্রবাসী অঞ্জু রায় হাষ্ট, সুইডেন প্রবাসী দ্বিজেন বিশ্বাস প্রমূখ। তিনদিন ব্যাপী রিগন মেলায় কবি গান, জারীগান, রামযাত্রাসহ বিভিন্ন লোক সঙ্গিত গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উল্ল্যেখ্য ১৯২৫ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি ইতালির ভিল্লাভের্লা গ্রামের এক সংস্কৃতিমনা পরিবারে ফাদার মারিনো রিগন জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে যাজকীয় দায়িত্ব পালন করতে ইটালি থেকে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মংলায় স্থায়ী আবাস গড়ে তোলেন ফাদার রিগন। ১৯৭১ সালে গোপালগঞ্জ এলাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন। তিনি একজন অনুবাদক। রবীন্দ্র-লালন-জসিম উদ্দিনের বই ইটালি ভাষায় অনুবাদ করেছেন। তিনি একজন সাহিত্যিক-শিক্ষানুরাগী। তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। ২০০৮ সালে আওয়ামীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ফাদার রিগণ কে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। মংলায় ফাদার রিগন ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ লাইব্রেরী-হাসপাতাল-গীর্জাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তিনি অসুস্থতার কারনে নিজ জন্মস্থান ইটালিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবার মৃত্য বরন করেন। যদিও তিনি ইটালিতে যেতে চাননি। তিনি বলেছেন তাঁর মৃত্যু হলে যেন তাঁকে বাংলাদেশে মংলার শেলাবুনিয়ায় সমাধি করা হয়। মূলত ৫ ফেব্রæয়ারি তাঁর জন্মদিন । তাঁর জন্মদিন কে ধরে রাখতে ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর রিগন মেলার আয়োজন করা হয়। ###