মংলায় পটকা বাঁজি ফুটিয়ে তিন শিশু আহত

0
880

মংলা প্রতিনিধি:
মংলায় খেলার ছলে ম্যাজের বারুদ দিয়ে নিজেদের তৈরি পটকা বাঁজি ফুটিয়ে তিন শিশু আহত হয়েছে। এদের মধ্যে এক শিশুর হাত এবং অপর দু’জনের মুখমন্ডল আংশিক পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে মংলার কুমারখালী এলাকায় অবস্থতি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রতাক্ষদশীরা জানান, মংলা পোর্ট পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ড কুমারখালী এলাকায় একটি হফিজীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ হাসান বর্তমান দাকিল পরিক্ষর্থী। ওখানে প্রায় ১২/১৫ জন ছাত্র হাফিজী পড়াশুনা করে। মাদ্রাসায় শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারনে ছাত্ররা খেলার ছলে মাদ্রাসার কয়েকজন শিশু ম্যাজের কাঠির বারুদ দিয়ে মাদ্রাসার সামনে ফাঁকা স্থানে আতশ বাঁজি ফুটাতে যায়। এসময় একটি গাছের গুড়ীর সাথে অন্য একটি পাথর দিয়ে স্বজোরে আঘাত কোরলে বারুদ গুলো ফুটে বিকট সব্দ হয়। ম্যাজের বারুদ ও পাথরের টুকরা ছুটে গিয়ে ওই মাদ্রসার তিন শিশু গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এরা হচ্ছে আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ জিলানী (১২), একই এলাকার হারুন শেখের ছেলে সালমান (৬) ও আমান উল্লাহ (৮)। আহত তিন শিশু বাড়ী কুমারখালীর একই এলাকায়। তবে ঘটনার পর পরই রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জিলানী নামে এক শিশুর অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে মংলা থানার এস আই আনোন্দ প্রশাদ চৌধুরী জানায়, সকাল ১০টার দিকে একটি বিকট শব্দ শুনে কুমারখালী এলাকায় গিয়ে জানতে পারি আব্দুস সালাম ফোরকানীয়া হাফিজী মাদ্রাসার সামনে ছাত্ররা পটকা ফুটাতে গিয়ে এঘটনা ঘটে। তবে আহত তিন ছাত্রের মধ্যে জিলানীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর চিকিৎসক ডাঃ উৎপল দাশ জানায়,সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদ্রসার তিন জন শিশু ম্যাজের বারুদের পটকাবাজিতে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসে। অন্য দুজনের বড় কোন সমস্যা না হলেও জিলানীকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তার বাম হাত ও হাতের আঙ্গুলের অবস্থা ভালনা। তবে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হলে ভাল হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় এ চিকিৎসক। ####