ভেড়িবাঁধ ধ্বংস ও গাছ উজাড় করে চলছে দেবহাটায় ইটভাটা নির্মাণ

0
619

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি, খুলনাটাইমস:
দেবহাটায় জনবসতি এলাকায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে খালের ভেড়িবাঁধ ধ্বংস, গাছ উজাড়, খালের উপর পাইপ বসিয়ে রাস্তা নির্মান ও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পুরোদমে চলছে ইটভাটা নির্মানের কাজ। উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের কালাবাড়িয়া-ঢেপুখালির মধ্যেবর্তী হুলোর মুখ নামক স্থানে নীতি বহিরভূত ভাবে প্রশাসনের নাকের ডকায় এমন কর্মকান্ড চালিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেয়নি কেউই। আর এসকল অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন উত্তর সখিপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পারুলিয়া ফ্যান্সি ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্ত¡াধীকারি ওলিউর রহমান ওলি। এতে করে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের পড়তে বসেছে হুমকির মূখে।

 


সরেজমিনে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের কালাবাড়িয়া-ঢেপুখালির মধ্যেবর্তী হুলোর মুখ নামক স্থানে খালের পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতীর সরকারি গাছ কেটে ধ্বংস করে এবং খালের ভেড়িবাধ দিয়ে রাস্তা তৈরী করা হচ্ছে। এমনকি খালের পুরাতন পাড়গুলো স্কেভেটর মেশিন দিয়ে কেটে ইট তৈরীর কাজে ব্যবহার করার জন্য মজুদ করা হচ্ছে মাটি। তাছাড়া রাস্তার পাশ্ববর্তী খুটি থেকে নেওয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। তাছাড়া নির্মাণাধীন ভাটার স্থানটি উপজেলা সদর থেকে দূরে হওয়ায় এ কাজ অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে মানা হচ্ছে না সরকারী কোন নিয়মনীতি।

 


এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ ওলি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাই কোন তোয়াক্কা ছাড়াই সদ্য ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে খননকৃত কালাবাড়িয়া খালের বুকে ভেড়ি দিয়ে পাইপ বসিয়ে রাস্তা নির্মান করার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন প্রায়। আর এই ইটভাটা নির্মিত হলে আশ-পাশের মৎস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এছাড়া বর্ষার মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের পক্ষাবিত হওয়ার আশংঙ্কা বিরাজ করছে। এমনকি মৎস্য এলাকায় ভাটা নির্মান করা হলে মৎস্য উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করছেন ঘের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে পাড়ের গাছকাটা এবং বাধ কেটে পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে মরিয়া ওলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

 

ইটভাটার মালিক অলিউর রহমান ওলি জানান, আমি নিয়ম মেনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

পল্লী বিদ্যুতের দেবহাটা ইনচার্জ জানান, অবৈধ্য ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোন মতেই খালের উপর পাইপ বসিয়ে রাস্তা নির্মান করতে দেওয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল-আসাদ বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।