ভিসা আবেদন ফরম পূরনের নামে শব্দ ভাষা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে প্রত্যারণার অভিযোগ

0
383

খুলনাটাইমস রিপোর্ট:
ভারতের ভিসা আবেদন ফরম পূরনের নামে শব্দ ভাষা এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নামিদামি হাসপাতালের ভূয়া এ্যাপারমেন্ট দাওয়ার কথা বলে প্রত্যারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যারণার নামে প্রতিষ্ঠানের মালিক বিশ্বজিৎ দাস হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
ভূক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, নগরীর স্যার ইকবাল রোডে অনলাইনে ভারতের ভিষা আবেদন ফরম পূরনের কাজ করে এমন অনেকগুলো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিন। এসকল প্রতিষ্ঠানের অনেক মালিক ব্যবসার নামে ভারতে চিকিৎসার জন্য বা ভ্রমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিকট থেকে প্রত্যারণার করে আসছে। এমনকি ভারতের নামিদামি হাসপাতাল বা ডাক্তারদের এ্যাপারমেন্ট নিয়ে দেওয়ার নামে কম্পিউটারের ভূয়া কাগজ বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ফলে ভারতে চিকিৎসা গ্রহণ ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ওই সকল কাগজ দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করলে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। যেকারনে নির্ধারিত দিনে ভিসা না পেয়ে চিকিৎসা নিতে না পারায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে এ্যাপারমেন্ট ফিস, আবেদন ফরম পূরণের ফিস এবং আবেদন ফিস জমা দিয়ে ভিসা না পেয়ে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ছে। এমন ঘটনার জন্য দায়ি জ্বলন্ত প্রমান শব্দ ভাষা এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠান। খুলনা শহরের ৩৮ স্যার ইকবাল রোডে প্রবেশ করলেই ভারতের ভিসা আবেদন ফরম পূরনের অনেক প্রতিষ্ঠান চোখে পড়বে। কিছু দূর যেতেই দেখা যাবে ছোট্ট একটি ঘর। যার সামনে বড় করে লেখা রয়েছে শব্দ ভাষা এন্টারপ্রাইজ, প্রো: বিশ্বজিৎ দাস, এখানে অনলাইনে ভারতীয় ভিসা আবেদন ফরম পূরন করা হয়। এমন লেখা দেখে এই প্রতিবেদক গত ৬ আগষ্ট ভারতের একটি মেডিকেল ভিসা’র আবেদন করবেন মর্মে হাজির হন ওই প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্টানের মালিক বিশ্বজিৎ ভিসা আবেদনের সকল কাগজ-পত্র গ্রহণ করে বললেন, আগামীকাল সকালে আসেন আমি বড় হাসপাতালের এ্যাপারমেন্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যথারীতি পরের দিন গেলে ভারতের তামিল নেডু, ভেলোর-৬৩২০০ ঠিকানার খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজ নামক হাসপাতের একটি কম্পিউটার প্রিন্টকৃত এ্যাপারমেন্ট কাগজ ধরিয়ে দেয়। এজন্য বিশ্বজিৎ বাবুকে দিতে হবে বারো’শ টাকা। এত টাকা কেন জিজ্ঞাসা করলে, অন্যদের কাছ থেকে আরও বেশী নেওয়া হয়। তিনি আরও জানালেন, ব্যক্তি অনুযায়ী ১২’শ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। চাহিদা মতো টাকা পরিশোধ করে আবেদন ফরম নিয়ে ডলার ইন্ডেক্স করে প্রয়োজনীয় কাগজ সংযুক্ত করে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত দিনে পাসপোর্ট হাতে পেলেও তাতে ভিসা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি বিশ্বজিৎ দাসের প্রতিষ্ঠানে এসে জানালো হলে,তিনি পুন:রায় ওই এ্যাপারমেন্ট সংযুক্ত করে আবারও আবেদন পূরন করে দিলেন, জমাও দেওয়া হলো। নির্ধারিত দিনে ২৮ আগষ্ট পাসপোর্ট আনতে গিয়ে দেখা যায়, এবারও ভিসা লাগানো হয়নি। কর্তৃপক্ষের কাছে বিনয়ের সহিত এমনটি হওয়ার কারন জানতে চাইলে, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, মেডিকেল ভিসা দ্রæত দেওয়ার জন্য এ্যাম্বসি থেকে আমাদের বলা আছে, ভিসা না দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। তবে শুধুমাত্র এ্যাপারমেন্ট ভূয়া হলে ভিসা দেওয়া হয়না। সুতারাং আপনি যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ্যাপারমেন্ট নিয়েছেন, তারা হয়তো কম্পিউটারাইজ করে ভূয়া কাগজ দিয়েছে। এমন অভিযোগের বিষয় শব্দ ভাষা এন্টারপ্রাইজের মালিক বিশ্বজিৎ দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে এ্যাপারমেন্ট নিয়ে দিয়েছি তা কোন ভাবেই ভূয়া না। এগুলো অনলাইনে আনতে অনেক টাকা খরচ হয়, তাই টাকা নেওয়া হয়। তবে এমন অভিযোগ অনেকেরই রয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য ভূক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।