ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

0
259

তথ্য বিবরণী:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত খুলনায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার সকালে খুলনা স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে খুলনা জেলার সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। খুলনা জেলায় দুই লাখ ৭৪ হাজার ৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা বেতারের সহকারী পরিচালক মোঃ মামুন আক্তার, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার প্রমুখ। কর্মশালায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ারকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সিভিল সার্জন জানান, ঐ দিনগুলোতে সকাল আটটা থেকে একটানা বিকাল চারটা পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে এবং এ সাথে স্বাস্থ্যবার্তাসমূহ প্রচার করা হবে। এ ক্যাপসুলের সাধারণত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোন সংবাদ পরিবেশন না করা এবং ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন সিভিল সার্জন। তিনি আরও জানান, সকল টিকাদান কেন্দ্রে শভভাগ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এবছর খুলনা জেলায় নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার নয়শত ২৩ এবং ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৪২ হাজার ৮০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রের সংখ্যা একশত ৯২টি, জোন সংখ্যা চারটি, মোট ভলেন্টিয়ার এক হাজার চারশত ২০ জন এবং সুপারভাইজার ৬২ জন। খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা, দুইটি পৌরসভায় মোট ৬৮টি ইউনিয়নের দুইশত চারটি ওয়ার্ডে মোট টিকাদান কেন্দ্র এক হাজার ছয়শত ৪১টি, স্বেচ্ছোসেবক তিন হাজার দুইশত ৮২জন, সরকারি ও বেসরকারি কর্মী চার হাজার ৭৭ জন এবং মেডিকেল টিমের সংখ্যা একশত ১৬টি। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্থায়ী টিকা কেন্দ্র থাকবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার শুধু টিকা কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।