ভােমরায় পাওনা টাকা না পেয়ে অফিস ভাংচুর: আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে!

0
179

স্টাফ রিপাের্টার: ভােমরা স্থলবন্দরে পাওনা টাকা না দেওয়ায় অফিস ভাংচুর করেছে। ভােমরা স্থলবন্দরে মেসার্স সায়েম এন্টারপ্রাইজে (১৪ ই ফেব্রুয়ারী) রবিবার রাত ৯ টায় এ ঘটনা ঘটে । মেসার্স সায়েম এন্টারপ্রাইজের প্রাে : কবির হােসেন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে ক্ষতিগ্রস্থ্য কবির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আজহারুল ও তার পিতা আলফার সাথে আলাদা আলাদা ভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফার বড় ছেলে জেলার শ্রেষ্ঠ তরুন করদাতা আজহারুল ইসলাম। আল- ফেরদাউস আলফা আমার মামাতো ভাইয়ের শশুর। তাদের সাথে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। আজহারুল আমার কাছে মোটা অংকের টাকা পাবে। দীর্ঘদিন পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার কারনে আমার অনেক টাকা মার্কেটে আটকিয়ে আছে। আজহারুলের কাছে আমি সময় নেই টাকা দেয়ার জন্য। সে আমাকে পিঁয়াজ আমদানি হওয়া পর্যন্ত সময় দেয়। হঠাৎ করে আবার পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু (১৪ ই ফেব্রুয়ারী) রোববার সন্ধ্যার সময় আমি জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় হঠাৎ আজহারুল আমাকে মোবাইল ফোনে কল করে। আমি সাথে সাথে কল রিসিভ করে বলি ভাই আমি ১০ মিনিট পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করছি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুক্ষন পরে তার আল-ফেরদাউস আলফার ছেলে আজহারুল ইসলাম (২৮) রইচপুর এলাকার জাকির হােসেনের ছেলে শামিম হােসেন ( ২৫ ) ভােমরা স্থল বন্দরের আবুল কালাম এর ছেলে ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম (২৮)। আমার অফিসের কাচের দরজা ভাংচুর করে ভিতরে ঢুকে ল্যাপটপ, ৪টি মোবাইল ফোন, প্রিন্টার মেশিন, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে। আমি তার সাথে কিছু বলে ওঠার আগেই সে ও তার সাংগপাঙ্গ এই তান্ডব ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।