ভালুকা চাঁদপুরে ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলণ

0
429

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুরে সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে বে-আইনি ভাবে ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলেও গায়ের জোরে বহাল তবিয়তে বালু উত্তোলণ করে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের ভালুকা চাঁদপুরের মালির মোড় সংলগ্ন হ্যাপি চৌধুরীর পুকুরে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে পাইন লাইনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী আম বাগান ভরাট করছে একই এলাকার নন্টু চৌধুরীর ছেলে মেহেদী হাসান। যেখানে কিনা মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০এর ২৬ধারায় বলা হয়েছে পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলল করা যাবে না। সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি পাকা স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটার সীমানার মধ্যে থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ আইন অমান্য করলে বা এই আইন বা অন্য কোন বিধান লংঘন করিলে অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বালু বা মাটি উত্তোলণ করলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ (এক্সিকিউটিভ বডি) আইন অমান্যকারীদের অনূর্ধ্ব ২(দুই) বৎসর কারাদন্ড বা সর্বনিম্ন ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা হতে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করবেন। কিন্তু উক্ত মেশিন মালিক সদরের আগরদাড়ী গ্রামের রবিউল ইসলাম আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সরকারী নির্দেশনাকে না মেনে বে-আইনভাবে ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলণ করে যাচ্ছে। ফলে উক্ত পুকুরের পাশে অবস্থিত দ্বিতল ভবন, এলজিইডি সড়ক, মসজিদ, ৩টি সরকারী প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে দাড়িয়ে আছে। ঘনবসতি এলাকার পুকুর থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলণ করা এবং প্রশাসনকে নিরব ভূমি পালন করার দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এমতাবস্থায় অতিদ্রুত আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।