ভারতকে এশিয়া কাপ খেলতে মানা করলেন শেবাগ

0
401

স্পোর্টস ডেস্কঃ
১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ টুর্নামেন্টের পাঁচটি দল নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। শুধু ষষ্ঠ দলটি নির্বাচিত হবে ছয় দলের বাছাইপর্ব শেষে। অবশ্য বীরেন্দর শেবাগের দেওয়া প্রস্তাব ভারত আমলে নিলে বাছাইপর্ব থেকে দুই দল বেছে নিতে হবে এসিসিকে। কারণ, ভারতকে যে এশিয়া কাপ খেলতেই মানা করে দিচ্ছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার।

গ্রুপ ‘এ’ ও ‘বি’তে ভাগ করা এই টুর্নামেন্টের সূচিতে একটা ঝামেলা করে ফেলেছে এসিসি। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর, টানা দুই দিন খেলা পড়েছে ভারতের। ১৮ তারিখ বাছাইপর্ব পার হওয়া দলের সঙ্গে খেলেই পরদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে ভারতকে। টানা দুই দিন ওয়ানডে ম্যাচ খেলার ধকল সামলানো যে কোনো দলের পক্ষেই প্রায় অসম্ভব। ইন্ডিয়া টিভির সঙ্গে কথোপকথনে শেবাগ তাই বিস্ময় লুকাননি, ‘আমি সূচি দেখে আসলেই অবাক হয়েছি। কারণ এ যুগে কোন দল টানা দুই দিন ম্যাচ খেলে? ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সময় দুই দিন বিরতি ছিল আর দুবাইয়ের গরমে আপনি ওয়ানডে খেলবেন। সেটাও বিরতি ছাড়া। তাই আমার মনে হয় না এটা সঠিক সূচি।’

এরপরই ভারত দলকে এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্ট খেলতে মানা করেছেন শেবাগ, ‘এশিয়া কাপ খেলা নিয়ে এত হইচই কেন, এত কান্নাকাটিই-বা কেন? এশিয়া কাপ খেল না। এর চেয়ে দলকে ঘরের মাঠের সিরিজ কিংবা অ্যাওয়ে সিরিজের জন্য প্রস্তুত কর। টানা ম্যাচ খেলা খুবই কঠিন।’ আর দল যদি এশিয়া কাপ খেলার সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাহলে অন্তত সূচি পরিবর্তন করতে বলছেন শেবাগ। কারণ একজন খেলোয়াড়ের ম্যাচ খেলার পর ফিটনেস ফিরে পেতে কিছুটা হলেও বিশ্রাম প্রয়োজন, ‘টানা দুই দিন কোনো ম্যাচই থাকা উচিত নয়। বিসিসিআই যদি কিছু বাতিল করতেই হয় তবে তাদের উচিত ছিল এশিয়া কাপে বাছাই পর্ব পার হওয়া দলের খেলা বাতিল করা। এসেক্সের সঙ্গে চার দিনের ম্যাচটা কমিয়ে তিন দিনে এনে তো লাভ নেই। একজন খেলোয়াড়ের অন্তত ৪৮ ঘণ্টা লাগে ধকল কাটাতে। কারণ ফিল্ডিংয়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টা মাঠে থাকা লাগে। এরপর যদি ২ ঘণ্টা ব্যাট করেন। তাহলে মাঠেই সাড়ে ৫ ঘণ্টা কাটাবে। এর ধকল কাটাতে কমপক্ষে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবেই!’

এ ছাড়া এভাবে ক্লান্ত হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত পিছিয়ে থাকবে বলে মনে করেন শেবাগ, ‘ভারত দল সেপ্টেম্বর মাসে যখন দুবাইয়ে এশিয়া কাপ খেলবে, তখন অনেক তাপমাত্রা থাকবে এবং এটা খেলোয়াড়দের ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে। পাকিস্তান খুব ভালো অবস্থায় থাকবে আর ভারতের খেলোয়াড়রা ক্লান্ত থাকবে। এর পর যদি আমরা ম্যাচটা হারি তখন আবার সমস্যা শুরু হবে, কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমরা খুব আবেগী। আমরা সব সময় চাই পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত জিতুক। কিন্তু ভারতের খেলোয়াড়েরা যদি ক্লান্ত থাকে তাহলে পাকিস্তান তো সুবিধা পাবে।’

১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কথা। আর ফাইনাল হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।