ভাংচুরের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি

0
285

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীর ইকবাল নগর এলাকার ৮নং হাজী মেহের আলী রোডস্থ বাড়িতে হামলা ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
এদিকে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলাকারীরা ওই বাড়ির ক্রয়সূত্রে মালিক শিপিং ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় আতংকগ্রস্ত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার তিনি খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।
অপরদিকে, বাড়িতে হামলা ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের ঘটনায় আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪/১৪৫ ধারায় ওই জমিতে স্থিতিবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। বাড়ির মালিক মোঃ জাহিদুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, নগরীর ইকবালনগর ৮ নম্বর হাজী মেহের আলী রোডস্থ এলাকার বাসিন্দা মৃত গোলাম মাওলার ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন জমিজমার বিরোধ নিয়ে একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মঈনউদ্দিন (৫৭) ও আলী হোসেনের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ (৩২)’র সাথে বিরোধ চলছে। এরই জের ধরে গত ২৪ অক্টোবর মঈন উদ্দিন রহমান, শেখ তসলিম হোসেন ও মিজানুর রহমান টিটো তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। ওই ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত গত ৪ নভেম্বর মামলার বাদী জাহিদুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত সম্পত্তিতে স্থিতিবস্থা ও অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, একই আদালতে করা ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামের অপর (এমপি-৩৮৩/১৯) মামলার তদন্তে খুলনা থানার এসআই মোল্লা জুয়েল রানা সরেজমিনে পরিদর্শন করে হামলা ও ভাংচুরের প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি গত ৩১ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
অপরদিকে অভিযোগের বিবাদী মিজানুর রহমান টিটু (৫০), মঈনউদ্দিন ও ফয়সাল আহম্মেদ (৩২) গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামের ভাড়াটিয়া দোকান ঘরের সামনে এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। এ অভিযোগ এনে তিনি খুলনা সদর থানায় জিডি করেছেন (নং-২৫৮, তাং-৫/১১/২০১৯)। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।