ভবদহে পাইলট চ্যানেল খননের নামে রাজস্ব খাতের অর্থের অপচয় হচ্ছে

0
374

অভয়রনগর প্রতিনিধি:
যশোর অঞ্চলের ২৬ বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ভবদহের মুক্তেশ্বরী ও হরী নদী ভাটির সময় শুকিয়ে যাচ্ছে। জোয়ারে নদীতে মাত্র তিন-চার ফুট পানি থাকে । ¯øুইস গেট বন্ধ রাখলে নদী বক্ষে পলি জমে ভরাট হয়ে যাবে। যে করনে ২১ ভেন্ট ও ৯ ভেন্টের সকল কপাট খোলা রাখা হয়। অধিকাংশ কপাট পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে।
টেকা-শ্রী ও হরি নদীর মোহনায় অবস্থিত ভবদহের ২১ ভেন্ট ও ৯ ভেন্ট বিশিষ্ট ¯øুইস গেট। গত ২০ আগষ্ট তারিখে সরজমিনে দেখা যায়,এক সময়কার খরো স্্েরাতধারার ওই তিন নদী এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। জোয়ারে ধেয়ে আসছে ব্যাপক পলি। পলিতে ভরাট হচ্ছে মুক্তেশ্বরী -টেকা ও হরি নদী। আর শ্রী নদী অনেক আগেই ভরাট হয়ে গেছে। ফলে ভারী বৃষ্টি হলেই শুরু হবে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বিলে পানি জমে উচ্ছেলে পড়েনি। যে কারনে এখনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে নদীর নব্যতা ফেরাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড হাতে নিয়েছে একটি পাইলট চ্যানেল খনন প্রকল্প। অনুন্নয়ন রাজস্ব খাত হতে এ প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪৯ রাখ ২৩ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় মুক্তেশ্বরী ও হরি নদী থেকে ১ হাজার ৫শ মিটারের পলি অপসন করা হবে। প্রকল্পের কার্যাদেশ রয়েছে চলতি বছরের ৫ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্ব পর্যন্ত। ওই প্রকল্পের আওতায়
দুইটি উভচর এস্কেভেটর দিয়ে পলি অপসরণের কাজ চলছে। ভবদহের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা নলীনি মল্লিক(৫৮) জানান, ৯ ভেন্ট ¯øুইস গেটের চ্যানেল তিন বার খনন করা হয়েছে। কিন্তু নদীর গভিরতা আগে যা ছিলো তার চেয়ে উঁচু হয়ে গেছে। বর্তামানে ওই চ্যানেলে কোন জোয়ার ভাটা হয় না একেবারে শুকিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, নদী খনন করে নব্যতা ফেরানো যাবে না। জোয়ারাধার করলে নদী আবার গভির হয়ে যাবে। ভবানিপুর গ্রামের বৃদ্ধ প্রভাত মল্লিক (৭১) বলেন, নদী খনের নামে টাকা লুটপাট করা হ্েচ্ছ। আসলে নদী গভির হচ্ছে না। তার মতে সাত দিন ধরে নদী কেটে গভিরতা করা হ্েচছ তা এক জোয়াওে ভরাট হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা পিয়াল হোসেন জানান, পাইলট চ্যানেল খনন প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রæত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। তিনি বলেন, সুন্দলী অঞ্চলের ঝিকরা খালের কচুরীপানা অপসরণ করা হয়েছে এবং নেট পাটা তুলে দিয়ে ভাটির সময় পানির প্রবাহ বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর গোস্বামী বলেন, চ্যানেল খনন কাজ বন্ধ করলে নদী বক্ষে পলি জমে ভরাট হবে যাবে। যে করনে খনন কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জোয়ারাধার প্রকল্প চালু করতে অনেক বাধা আসে। বিল কপালিয়া জোয়ারাধার চালু করতে আসলে এলাকাবাসী আমাদের ওপর হামলা করে কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সব কারনে জোয়ারাধার প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। আগামীতে আসছে ভবদহ এলাকার নদী-খাল খনের জন্য ৮শ ৭ কোটি টাকার একটি মহা প্রকল্প । আশাকরি এ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।