বয়স্ক, প্রতিবদ্ধি ও বিধবা ভাতাতেও দূর্নীতি দুঃখজনক

0
325

যারা এই দেশের এক সময়কার রোল মডেল, উন্নয়নের মূল ভিত্তি, যাদের পরিশ্রমের বিনিময়ে একটু একটু করে এগিয়ে দেশ আজ তারাই আজ প্রবীণ। তাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে, প্রবীণরা যাতে পরিবারে বোঝা না হয়, ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বয়স্ক, প্রতিবন্ধি ও বিধবা ভাতা ১৯৯৭-৯৮ সালের অর্থ বছর থেকে কার্ডের মাধ্যমে টাকা প্রদান করে থাকেন ।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন অঙ্গীকার হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুন করার লক্ষ্যে ক্ষমতা গ্রহনোত্তর ২০০৯/১০ অর্থ বছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ জন থেকে বৃদ্ধি করে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার জনে এবং জন প্রতি মাসিক ভাতার হার ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নতি করা হয়। ২০১৯/২০ অর্থ বছরে ৪৪ লক্ষ বয়স্ক ব্যক্তিকে ৫০০ টাকা হারে জন প্রতি মাসিক ভাতা প্রদান করা হয়। চলতি বছরে এ খাতে বরাদ্দ রইছে ২৬৪০ কোটি টাকা। এই বয়স্ক ভাতা পেতে পুরুষের বয়স হতে হবে ৬২ মহিলাদের ৬৫ বছর।
কিন্তু প্রবীণ অক্ষম, প্রতিবন্ধি,ও বিধবারা এর ন্যায্য প্রাপক হলেও তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে মেম্বার প্রযন্ত ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা গ্রহন করছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। যারা টাকা দিচ্ছে তাদের ভাতার কার্ড হচ্ছে বয়স বা ব্যক্তিকে না দেখেই। অপর দিকে একজন ন্যায্য প্রাপক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার অনেকে ধার-দেনা সুদের উপর টাকা এনে দিলেও মাসের পর মাস তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দরিদ্র অসহায় নিঃস্ব মানুষদের হক নিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি কিংবা লজ্জা জনক অনিয়ম দূর্নীতি যারা করেন, তারা কোন জাতের মানুষ তা ভাবাই যেন কষ্টকর। আবার ভাবতে অবাক লাগে নৈতিক মূল্যবোধ যেন এদের কাজ থেকে বিদায় নিয়েছে। এসব অসাধু লোভী অসৎ ও সংকীর্ণ মনের মানুষদের কারণে সরকারের বদনাম হয় এবং মূল্যহীন হচ্ছে দেশ ও জাতির উন্নতি। আবার বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত ব্যীক্তদের টাকাও তুলে নেন।
বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে দূর্নীতি মেনে নেওয়া যায় না। যারা ন্যায্য প্রাপক তারা পাবে এমনটি আমরা আশা করি। সরকারকে অবশ্যই এসব অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্থি মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দূর্নীতি দমন কমিশনকে আরো কঠিন হতে হবে গোপন সুত্রের আশায় নয় মাঠ পর্যায়ে তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। শুধু একটি থানা বা জেলায় এইসব সমস্যা বা দূর্নীতি নয় ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে।
সরকারকে এর মূল শিকড় তুলতে হবে। নইলে ন্যায্য প্রাপক গুলো শেষ বয়সে ন্যায্য পাওনা বা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। বৃদ্ধ প্রবীন প্রতিবন্ধি ও বিধবাদের অভিশাপে অভিশপ্ত হবে দেশ ও জাতি। সরকারকে অবশ্যই স্লোগানটি বাস্তবায়ন করতে হবে, সঠিক ব্যক্তি বয়স্ক ভাতা পেলে তাদের জীবন যাবে হেলে খেলে।