ব্রিজ সমিতির কারসাজি : ৩০ হাজার ঋণ পরিশোধ করার পরও মামলা ১৩ লক্ষ টাকার

0
708

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা) প্রতিনিধি: এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্রিজ থেকে ত্রিশ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করে উল্টো গ্রাহকের নামে তের লক্ষ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা। ঘটনাটি নগরীর ফুলবাড়ীগেটে অবস্থিত দৌলতপুর শাখা ব্রিজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজসে। এই অফিসের ্এক সদস্য(গ্রাহক) ব্রিজ সমিতি থেকে দু’টি ব্লাংক চেকের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা লোন নেয়। যথা সময়ে লোন পরিশোধ করার পরও চেক দুটি দিয়ে উক্ত গ্রাহকের নামে আদালতে ১৩ লক্ষ টাকার চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করেছে সমিতির এক সদস্য ।
জানাগেছে, ব্রিজ দৌলতপুর শাখা অফিস থেকে মহেশ^রপাশা(কাত্তিককুল) এলাকার মুরাদের কণ্যা মোনালিসা পারভিন নিপা গত ১৮/১/১৭ তারিখ সমিতি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা লোন নেয়। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী টাকা নেওয়ার সময় সমিতিকে দুটি ব্লাংক চেক প্রদান করে। গত ১৭/১০/১৭ লোন পরিশোধ করা হলে অফিসে ব্লাংক চেক দুটি ফেরৎ চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোন কর্মকর্তা সাহনাজ পারভীন গ্রাহককে অফিসে এসে চেক দুটি নিয়ে যেতে বলেন। গ্রাহক মুনালিসা কুষ্টিয়া থাকায় চেক দুটি নিতে বিলম্ব হয়। এদিকে ব্রিজ সমিতির গ্রাহক রেখা বেগম ও তার বোন লিপিয়া বেগম উল্লেখিত চেক দুটি দিয়ে আদালতের ৬লক্ষ এবং ৭ লক্ষ টাকার মামলা দায়ের করলে। গতকাল শনিবার দুটি চেক ডিজঅনার মামলার নোটিশ গেলে মোনালিসার বাড়ীতে গেলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি অবহিত করে বিকালে খানজাহান আলী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশ এবং গ্রাহক ব্রিজ অফিসে এসে লোন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে জমাকৃত চেক দুটি চাইলে তারা চেক দুটি গ্রাহককে দিতে ব্যার্থ হয়। ঘটনাস্থলে ব্রিজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান সোহাগ হোসেন উপস্থিত হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোন কর্মকর্তা এবং মাঠ কর্মী তাকে জানান গ্রাহকের লোন শোধ হয়েছে কিন্তৃ গ্রাহকের জমাকৃত চেক দুটি ফাইলে পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্রিজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান সোহাগের কাছে গ্রাহকের ব্লাংক চেক দুটি অফিস থেকে বের হয়ে অপর গ্রাহকের নামে আদালতে চেক দুটি দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকার দুটি মামলা হলো কি করে জানতে চাইলে খঅনজাহান আলী থানার এস আই রোকনুজ্জামানের কাছে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে অফিসিয়াল ভাবে তদন্ত করে আগামী ৩১ জুলাই বিষয়টিঅবহিত করা হবে।
এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানার এস আই রোকনুজ্জামান বলেন ব্রিজের গ্রাহক মোনালিসা পারভিন নিপা উল্লেখিত বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেন সমিতি থেকে দুটি চেকের ব্লাংক পাতা দিয়ে ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে নির্ধারিত সময়ে সুদ সহ টাকা পরিশোধ করার পরও আমার দেওয়া ব্লাংক চেক দুটি ফেরৎ না দিয়ে সমিতির ম্যানেজার আমার চেক ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করে চেক না দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। উল্লেখ্য এই অফিসের ম্যানেজার নিরঞ্জন দাস ৩ জুন ঢাকায় চলে যাওয়ার পর বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার হিসাবে মোঃ ফরিদুর রহমান দায়িত্ব পালন করছে।