ব্যস্ত দিনের স্মৃতি রোমন্থন করছেন সাবা

0
407

খুলনাটাইমস বিনোদন: শুটিং-ডাবিং কিংবা মিটিংÑশিল্পীদের সব ব্যস্ততা তাড়িয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। হাতে অঢেল সময়, যেন কাটতেই চায় না। করোনা আতঙ্কের ছায়া তাদের মনে রেখাপাত করলেও কতক্ষণ আর তা বয়ে বেড়ানো যায়! তাই তো ঘরবন্দি সোহানা সাবা সেই ব্যস্ত দিনের স্মৃতি রোমন্থন করছেন। নিজের পুরোনো অভ্যাসের কথা উল্লেখ করে সাবা বলেন, ‘যে কোনো জায়গায় গিয়েই আমার প্রথম কাজ সব গুছানো, ফিটফাট করা। যেমন: শুটিংয়ে মেকআপ রুমে ঢুকেই সবার ব্যাগ একসারিতে রেখে লোক ডেকে ঝেড়ে মুছে সব পরিপাটি করে ফেলি। অথবা দেশের বাইরে বা ঢাকার বাইরে কাজ অথবা বেড়াতে গিয়েও হোটেল রুমে ঢুকেই সব ব্যাগ পরিপাটি করে সাজিয়ে শাওয়ার নিয়ে তারপর শান্ত হই। আগেই বলে রাখি, কোনো জার্নির শুরুতেই, সেটা গাড়ি হোক বা প্লেন আমি মাথাটা চাদর দিয়ে ঢেকে ঘুমিয়ে নিই। এজন্য ট্যুরে পৌঁছানোর পর আমার এনার্জির অভাব থাকে না!’ অন্য কেউ খাইয়ে দিক বিষয়টি ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করেন না সাবা। কিন্তু শুটিংয়ে এমন দৃশ্যের সময় কী করেন সাবা? শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাবা বলেন, ‘‘একবার শুটিংয়ে (কাল-পাত্রের নাম বলতে চাই না) আমার কোআর্টিস্টের (আমার চাচার রোল প্লে করছিলেন) আমাকে মুখে তুলে খাওয়াতে হবে। আমি ডিরেক্টরকে বললাম, ‘ভাইয়া চামচ দিয়ে খাইয়ে দিক?’ ডিরেক্টর বললেন, ‘তাহলে তো মায়া-আদরটা ফুটবে না। আর ডায়ালগ শেষ করে চাচা মুখে তুলে ভাত খাইয়ে দিবেন, পুরোটা একটা ছোট শটেই শেষ হবে।’ তারপর আমি প্রোডাক্শনের লোক ডেকে আমার কোআর্টিস্টের হাত ধুইয়ে-মুছিয়ে নিলাম। কারণ ডিরেক্টরের কথা শীরধার্য।’’ ‘‘শট শুরু হলোÑআমি বিছানায় মাথা নিচু করে বসে। চাচা আমার পাশে বসে ডায়ালগ আওড়াতে থাকলেন আর ওঁর হাত পরনের লুঙ্গিতে মুছতে থাকলেন। তারপর আমাকে মুখে তুলে দুই লোকমা ভাত খাইয়ে দিলেন। আমি চুপচাপ সব দেখেও খেতে থাকলাম। কারণ শটটা কাটলে আবার আমাকে শটটা দিতে হবে। কি বিপদ! ডিরেক্টর আর তার সহকারীরা শটটা ‘কাট, ওকে’ বলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। কারণ ওরা সবাই আমার এই ঘ্যান ঘ্যান স্বভাবটা জানে। শুধু চাচাই বুঝতে পারলেন না, শটটা শেষ হয়েছে তো এত হাসির কি আছে!’ বলেন সাবা।