ব্যবসা সফল একটি ইটভাটা বন্ধ করতে অভিযোগ আর অভিযোগ

0
247

টাইমস ডেস্ক:
খুলনার ডুমুরিয়ায় অবস্থিত একটি ব্যবসা সফল ইটভাটা একপক্ষ বন্ধ করতে অপরপক্ষ চালু রাখতে অভিযোগ আর অভিযোগ। ইটভাটার শান্তিপুর্ণ দখল রেখে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং মিথ্যা হয়রানী থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য একজন ইটভাটার মালিক অবশেষে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন। আবেদনে বাহার ব্রিকসের মালিক আঃ হাই বাহার অভিযোগ করেছেন জনৈক সিরাজুল খান গং নামে-বেনামে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ এবং মামলার পর মামলা দিয়ে একটি ব্যবসা সফল ইটভাটা বন্ধ করার চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
ব্যবসায়ী বাহার তার ৮পাতা আবেদনে বলেছেন, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার বরাতিয়া মৌজার কয়েকটি দাগে সোয়া পাঁচ একর জমিতে ওমর আলী ও কোমর আলী ভোগবান ছিলেন। একই মৌজায় প্রায় আড়াই একর জমিতে শহিদুল গাজী গং ২০১২ সালে ৭টি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মোট ১৪ একর জমিতে জনৈক আক্তারুজ্জামান টুটুল বন্দোবস্ত নেন এবং সরকারী সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে ইটভাটার ব্যবসা চালু করেন। এমন সময় ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পরে সিরাজ খানকে অংশিদার করে একে ব্রিকস নামে পুনরায় ব্যবসা চালু রাখেন। এক পযার্য়ে সিরাজখান বিভিন্ন পাওনাদারদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধেও ব্যর্থ হওয়ার কারনে এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ধারায় সিএমএম কোর্টে মামলা হয়। এইসব ঘটনার কারনে আক্তারুজ্জামান তার সাথে সিরাজ খানের হওয়া চুক্তিটি বাতিল করেন। পরবর্তীতে আক্তারুজ্জামান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অবশেষে খুলনা আঃ হাই বাহারকে গত ২০১৮ সালে ইটভাটাটি হস্তান্তর করেন।সেই সময় থেকে এই ইটভাটা নিয়ে আবেদন-নিবেদন , মামলা-পাল্টা মামলা চলে আসছে।
অভিযোগ সম্পর্কে আঃ হাই বাহার জানান, তিনি সকল নিয়ম কানুন মেনে ট্রেড লাইসেন্স করে, পরিবেশের ছাড়পত্র নিয়ে পুনরায় ৫টি চুল্লি ও একটি চিমনি স্থাপন করে, সরকারি ফি জমা দিয়ে ভাটার লাইন্সেসের আবেদন করে ইট উৎপাদন করছেন । এখানে শতশত গরীব মানুষ কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে। অত্র এলাকার ইট ব্যবসায়ীরা সিজনের সময় ইট ক্রয়ের অপেক্ষায় ঠিক সেই সময় সেই চিহ্নিত ব্যক্তি ব্যবসায় বিঘœ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহন করছে। তিনি জানান, এই মিথ্যা অপকৌশলী ব্যক্তির হাত থেকে ব্যবসা বাঁচানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আবেদন করেছি । অপরদিকে, এই ইটভাটার অভিযোগ বিষয়ে জানতে মোবাইলে সিরাজ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আর আক্তারুজ্জামান এই ইটভাটা চালু করি এবং অনেক টাকা লোকসান করেছি। এই দেনা- পাওনা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে । তিনি ইটভাটার মালিক দাবী করেন তবে তার নামে কোন ট্রেড লাইসেন্সসহ কোন লাইসেন্স নাই ভাটাটি দখলেও নাই বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন,বারবার আমাকে হত্যার ভয় দেখানো হয় বলে আমি ভাটায় যেতে পারি না। ভাটায় আমি যে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি সেই বিষয়ে তদন্ত করে সরকারী সকল দপ্তর আমার পক্ষে মতামত দিয়েছে। জমির প্রকৃত মালিকরা আপনাকে নাকি আঃ হাই বাহারকে ভাটার জমি লিজ দিয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।