বৈষম্য দূর করে বেতন বাড়ানোর দাবি সরকারি কর্মচারীদের

0
174

টাইমস ডেস্ক:
রসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে বিশাল বৈষম্য চলছে জানিয়ে বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব বলছে, করোনাকালে দেশের ৫৩ শতাংশ পরিবার কম খাবার খেয়ে থেকেছে। গত এপ্রিল-জুলাইয়ে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশে। এ মহামারিতে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের বেতন কমেনি, বরং নানা সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের বড় অংশই এখনও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেনি। এ অবস্থার মধ্যেই আরও সুযোগ-সুবিধার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়ক মো. শাহীনুর রহমান বলেন, বৈষম্যের যাতাকলে পিষ্ট ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা। এ বৈষ্যমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে বৈষম্যমুক্ত কর্মচারীদের অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমাদের এ যাত্রা। এ যাত্রা সফল করার জন্য আমরা কর্মচারীদের মুক্তির সনদ হিসেবে বেছে নিয়েছি ১১ দফা দাবি। তাদের ১১ দফা দাবি হলো- দ্রুত নবম পে-কমিশন গঠন এবং নবম পে-স্কেলের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করতে হবে। তার আগে জীবনযাত্রার মান ও আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি সামঞ্জস্য রাখতে ৩ থেকে ৮টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট অথবা ৪০ শতাংশ মহার্ঘভাতা (সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা) দিতে হবে। টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন সমতাকরণ, ইবিক্রস, অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট এবং বিশেষ গ্রেড প্রদান পূর্বের মতো বহাল করতে হবে। সচিবালয়ের মতো পদ ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান ২০ গ্রেডের পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের প্রণয়ন করা। ১৯৭৩ সালের আলোকে বেতন বৈষম্য দূরকল্পে ১০টি গ্রেড বাস্তবায়ন করতে হবে। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া বেসিকের শতভাগ ও স্বল্পমূলে রেশন দিতে হবে। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বিনাসুদে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে। ব্লক পদে পদোন্নতির সুযোগ দিয়ে সকল পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়োগবিধি একমুখী করা, কমন নিয়োগবিধিতে পদ সংখ্যা বৃদ্ধিসহ কমন পদে আন্তঃদফতর বদলি চালু করতে হবে। শতভাগ পেনশন সমর্পণ আগের মতো বহাল, পেনশনযোগ্য চাকরিকাল বর্তমানে প্রচলিত ৫ থেকে ২৫ এর স্থলে ৫ থেকে ২০ বছর এবং পেনশনের হার সর্বশেষ আহৃত বেতনের ৯০ শতাংশের জায়গায় ১০০ শতাংশে উন্নীত করাসহ আনুতোষিক ১ টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ঝুঁকি ভাতা এবং ওভারটাইম চালু করতে হবে। চিকিৎসা, শিক্ষা টিফিন ও যাতায়াত ভাতা বাস্তব সম্মতভাবে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। আউট সোর্সিং নিয়োগ বিলুপ্তসহ কর্মরতদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পে সাকুল্য বেতনভোগীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।