বিড়ি বিক্রেতা থেকে কোটিপতি

0
590

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
মাত্র ৬ বছরের ব্যবধানে এক বিড়ি বিক্রেতা কোটিপতি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন সদর উপজেলার কালিয়ানী গ্রামের মেম্বর ঈশারুল ইসলাম। ভারত-বাংলাদেশের নোমান্সল্যান্ডে তার বাড়ি। কালিয়ানির ঈশারুল ইসলামের বাড়ি থেকে ভারতের কৈজুড়ি গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৫০০ গজ।
২০১৩ সালে দেশে যখন সহিংসতা শুরু হয় ঈশারুল ইসলাম তখন বৈকারি ইউপি মেম্বর। এসময় বৈকারি ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াত নেতা শহীদ হাসান। ওই সময় চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন ঈশারুল মেম্বরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যখন দাঙ্গা শুরু হয়, তখন থেকে বিড়ির ব্যবসা ত্যাগ করে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন ঈশারুল।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে ব্যবসা চলে নির্বিঘেœ। কালিয়ানী সীমান্তে অধিপাত্য বিস্তার করে সে। এলাকার একাধিক ব্যক্তি এ অভিযোগ করেছেন। মাত্র ৬ বছরের ব্যবধানে ঈশারুল কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ৬ বছরের মধ্যে ৩বছর তিনি গরুর ব্যবসার সাথে জড়িত। হঠাৎ করে তিনি নিজেকে আওয়ামীলীগের কর্মী বলেও দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বৈকারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কওছার আলীর সাথে, তিনি বলেন ঈশারুল ২০১৩ সালেও ভারতীয় পাতার বিড়ি বিক্রি করতো। জামায়াতের চেয়ারম্যান শহীদ হাসানের আস্থাভাজন হওয়ায় তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে তার মাধ্যমে বৈকারিতে জামায়াত-শিবির কে শেল্টারের ব্যবস্থা করেন। ঈশারুলের প্রথম স্ত্রী ২ সন্তানের জননী খাদিজা কে তালাক দিয়ে লিটনের স্ত্রী তন্বি কে পরকীয়ার জালে ফেলে লিটনের কাছ থেকে বের করে নিয়ে বিবাহ করে। এঘটনায় খাদিজা মামলা করে। পরে মেম্বরের ভয়ে মামলা তুলে নেয়। কিছুদিন তন্বির সাথে ঘর করার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে ঈশারুল প্রচার দেই। জনশ্রুতি আছে তাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। তন্বির মৃতু্যুর পর পুনরায় আলীপুরে আবার বিয়ে করেন মেম্বর ঈশারুল।
কওছার আলী আরো জানান, বৈকারি জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী খালেক মন্ডলের মামলা বিচারাধীন। মামলার স্বাক্ষীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে জামায়াত নেতারা। জেল থেকে জামিন পেয়ে জামায়াত নেতারা প্রতিনিয়ত মিটিং করে সংঘটিত হচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের কিছু ঘটে যেতে পারে। সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা শহীদ হাসান গোপনে পুনরায় জামায়াত কে সংঘটিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় ঈশারুলের মত নব্য কিছু আওয়ামীলীগার শহীদ হাসানের কর্মকান্ডে সহযোগিতা করছে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। এবিষয়ে বৈকারি ইউপি চেয়ারম্যান সদর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান অসলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈকারি ইউনিয়নের রাজনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। জামায়াত শিবির সংঘটিত হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী মামলার স্বাক্ষীদের জীবন নাশের আশংকা রয়েছে। জামায়াত নেতা শহীদ হাসানের আস্থাভাজন নব্য আওয়ামীলীগাররা অর্থ দিয়ে এখানে জামায়াতকে সহযোগিতা করছে। তিনি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে মেম্বর ঈশারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি|