বিশ্বকাপের জন্য সব দিয়ে দিতে রাজি: মেসি

0
360
????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

স্পোর্টস ডেস্ক:

স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার হয়ে ৩২টি ট্রফি জয় করেছেন লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই লা লিগার দলটির জার্সিতে পাঁচ বার ব্যালন ডি’অর জয় করে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৩০ বছর বয়সীর সাফল্যের ভাণ্ডার অপূর্ণ।

আকাশী-সাদা জার্সিতে ১৩ বছর আগে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জয়। আর ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক থেকে ফুটবলে সোনা জিতে ফিরেছিলেন আলবিসেলেস্তে শিবিরে। এবার রাশিয়া থেকে বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনায় নিয়ে ফিরতে মরিয়া মেসি। বলছেন, ক্লাব স্তরে যে ৩২ টি ট্রফি তিনি জিতেছেন তার সবগুলো তিনি দিয়ে দিতে পারেন, শুধু একটা স্বপ্নের কাপটার জন্য।

২০১৪ সালে রানার্স আপের ট্রফি সঙ্গে ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসেবে গোল্ডেন বল পান সময়ের সেরা তারকা। বিশ্বকাপ জয়ের এত কাছাকাছি গিয়েও তা জিততে না পারার আক্ষেপ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন।

এবারের বিশ্ব কাপের গ্রুপ ‘ডি’ তে আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া মুখোমুখি হবে হোর্হে সাম্পওয়ালির শিষ্যরা। ১৬ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে দুই বারের বিশ্বসেরা দলটি।

বর্তমানে দলের সঙ্গে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের বিশ্বকাপ ক্যাম্পে প্রস্তুতি সাড়ছেন।

দেশটির একটি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে মেসি বলেন, জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা বহু দিনের স্বপ্ন। আর তার জন্য বার্সার হয়ে যতগুলো পুরস্কার জয় করেছি তার সবগুলো দিয়ে দিতে রাজি আছি। আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ জয় অন্য সব খেতাব থেকে আলাদা।

বার্সা ফরোয়ার্ড বলেন, স্পেনের হয়ে খেললে এত দিনে বিশ্বকাপ জিতে যেতাম। ন্যু ক্যাম্পের বন্ধুরা এ কথা বলে প্রায়ই মজা করে। কিন্তু আমি জানি আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ জিততে পারার অনুভূতিটাই আলাদা।

২০১৭/১৮ মৌসুমে লা লিগা এবং কোপা দেল রে’র টফি জিতে নিয়েছেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে গোল করেছেন ৪৫টি। ম্যাজিক্যাল মেসির দুর্দান্ত ফর্ম আর তারকায় ভরপুর আক্রমণভাগ বিশ্বকাপের ২১তম আসরে লাতিন আমেরিকার দেশটিকে ফেভারিটের তকমা দিয়েছে।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের সম্ভাবন কতটুকু জানতে চাইলে মেসি বলেন, দলে প্রচুর অভিজ্ঞ ও তরুণ পরিশ্রমী ফুটবলার রয়েছে। তার উপর রয়েছেন সাম্পাওলির মতো কোচ। তারপরও বলব না বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম ফেভারিট দেশ আর্জেন্টিনা। কারণ বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন।