বিনা অনুমতিতে জেলা পরিষদের গাছ কাটলে ব্যবস্থা-জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম

0
303

আব্দুর রব লিটু,দেবহাটা : দেবহাটায় সুপার সাইক্লোন ঘূর্নিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ও ভেঙ্গে পড়া জেলা পরিষদের গাছগুলো সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে স্থানান্তরের সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেন,বিনা অনুমতিতে কেহ জেলা পরিষদের গাছ কেটে আতœসাত করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ট্রাকে করে ঐ গাছগুলো সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ কার্য্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে বিকাল ৪টার দিকে পরিদর্শনে আসেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রধান সাদিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, জেলা পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ আল ফেরদাউস আলফা। এ সময় তিনি আরো বলেন,সম্প্রতি সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল ঘুর্নী ঝড় আম্পানে গাছ পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘিœত হয়েছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে গাছ পাশে সরিয়ে রাখা যাবে কিন্তু নিয়ে যাওয়া যাবেনা। কেহ বিনা অনুমনিতে গাছ কাটলে জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ জানতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ছাড়া জেলা পরিষদ সূত্র মতে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সুপার সাইক্লোন ঘূর্নিঝড় আম্ফানে দেবহাটাসহ সাতক্ষীরার বহু এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। তার মধ্যে জেলাব্যাপী জেলা পরিষদের অসংখ্যা গাছগাছালী উপড়ে পড়ে। এতে একদিকে যেমন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অন্যদিকে অনেক মানুষের বসতবাড়িগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। যার কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা ও মানুষের জীবনমানের নিরাপত্তার জন্য জেলা পরিষদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছগুলো কেটে দেবহাটা উপজেলাস্থ জেলা পরিষদের ডাকবাংলো চত্বরে এনে রাখা হয়। সোমবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক দেবহাটা ডাকবাংলো প্রাঙ্গন থেকে ঐ গাছগুলো ট্রাকে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখনো অনেক এলাকার রাস্তার পাশে অনেক গাছ পড়ে থাকলেও সেগুলো কেটে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে জেলা পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ আল ফেরদাউস আলফা জানান, জনবলের কারনে অনেক এলাকা থেকে এখনো সব গাছ কাটা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত ঐ সকল গাছ অপসারনে কাজ করা হচ্ছে। তিনি এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জেলা পরিষদের অনুমতি ব্যতিত কেউ কোন গাছ কাটতে পারবেনা। যদি কোন এলাকায় কেউ গাছ কাটতে যায় তবে অবশ্যই তার কাছে জেলা পরিষদের অনুমতিপত্র থাকতে হবে। কারন একশ্রেনীর লোক জেলা পরিষদের বিনা অনুমতিতে গাছ কেটে নিজেরা বিক্রি করছে। তাই সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে জেলা পরিষদের অনুমতিপত্র ছাড়া কেউ গাছ কাটতে গেলে তাদেরকে আটক করে (জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ০১৭১১-৩৪৭৯৪৫ অথবা তার নিজ মোবাইল ০১৭১১-৪৪৮৯৫৬) তে অবহিত করতে বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট দিতে তিনি অনুরোধ করেন।