বিদ্যুৎ ব্যবহারে বৈষম্য দূর করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

0
303

খুলনাটাইমস: আমাদের মানুষের এখন আর্থিক সঙ্গতি বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। একেবারে গ্রামের মানুষ, তারাও টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি ব্যবহার করে। আস্তে আস্তে সেই সক্ষমতা গড়ে উঠছে এবং তা আরও গড়ে উঠুক, সেটাই আমি চাই। বিদ্যুৎ ব্যবহারে বৈষম্য দূর করতে চাই। মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পায়। গতকাল রোববার সকালে পাঁচটি নির্মাণ-সমাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রী জানান, শতভাগের কাছাকাছি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছেন। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এখন আমাদের অনেকে অর্থশালী-সম্পদশালী লোক হয়ে গেছে। আপনারা বিল দেবেনÑকিন্তু মনে রাখতে হবে আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি তার খরচ কিন্তু অনেক বেশি। আমরা কিন্তু গ্রাহক সেবা দেওয়ার জন্য সেখানে ব্যাপক হারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের খরচ যেটা সেটা কিন্তু আপনাকে বিল হিসেবে দিতে হয় না। অনেক কম টাকা বিল নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মানুষের এখন আর্থিক সঙ্গতি বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। এখন একেবারে গ্রামের মানুষ, তারাও টেলিভিশন ফ্রিজ ব্যবহার করে। এমনকি এসিও ব্যবহার করে। আস্তে আস্তে সেই সক্ষমতা গড়ে উঠছে এবং তা আরও গড়ে উঠুক, সেটাই আমি চাই। শেখ হাসিনা বলেন, এই বৈষম্য যেন না থাকে। মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু ব্যবহারের সময় যদি আপনারা সাশ্রয়ী না হন তাহলে কত বিদ্যুৎ আমরা দিতে পারব? সেটাও দেখতে হবে? প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহŸান জানিয়ে আরও বলেন, নিজের ঘরের সুইচটা নিজের হাতে অফ করা এটা কোনো লজ্জার বিষয় নয়। আমি কিন্তু করি। আমি যখনই বের হইÑ মনে করি যে এখানে ওখানে যে বিদ্যুৎটা অপ্রয়োজনীয়, তা আমার নিজের হাতে সুইচগুলো অফ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি গণভবন সরকারি ভবন। যতই জ¦ালাক এখানে যারা কাজ করে ওনারা ঐরকমই নিয়ম মনে করে, জ¦ালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় বসবাস করি আমার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করি। আমার অভ্যাসটা ঠিক রাখি। কারণ চিরদিন তো কেউ আর প্রাইম মিনিস্টার থাকে না। এটা হয়তো পাঁচ বছরের জন্য আসে। এরপর হয়তো থাকব না। তখন আবার নিজের মতো করেই চলতে হবে। তো অভ্যাসটা নষ্ট করে লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আয়েশা ওয়াসিকা খান, বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হাবিবুর রহমান এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।