বিদেশে নিয়ে শ্রম ও যৌন দাস হিসাবে বিক্রি

0
411

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে বিদেশে নিয়ে শ্রম ও যৌন দাস হিসাবে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের খোদ্দেল খান তার মেয়ে ফাতেমা বেগম ও জামাই মামুন চৌধুরির বিরুদ্ধে। প্রতারণার শিকার মাসুদ শেখ এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দ্বায়ের করেছেন। যার মামলা নং সি.আর ৪৫/১৭।
মামলা সুত্রে জানা যায়, খোদ্দেল খানের জামাই মামুন চৌধুরি ওমানে থাকে। সেই সুবাদে তিনি মাসুদকে বলেন তুমি ৩ লক্ষ টাকা দিলে তোমায় ওমানে নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেবো। বেতন হবে মাসিক ৪০ হাজার টাকা এছাড়া অতিরিক্ত সময় কাজ করলে আরো ১০-১৫ হাজার টাকা পাবে। একথা শোনার পর নিজের পরিবারের সচ্ছলতার আশায় খোদ্দেল খানের কাছে পাসপোর্ট, ছবি ও ৬ বার ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লক্ষ টাকা দেন।
এরপর ওমানে নিয়ে মাসুদকে কোন কাজ না দিয়ে তাকে ৫০ হাজার রিয়েলের বিনিময়ে পাকিস্তানিদের কাছে শ্রম ও যৌন দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। তখন পাকিস্তানি ব্যাক্তিরা মাসুদের পায়ে শিকল বেধে কাকড়া ধরার জন্য সাগরে নামিয়ে দিত এবং রাতে যৌন নির্যাতন চালাতো । এভাবে বেশ কিছুদিন কাটার পর মাসুদ সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছে আশ্রয় নেয়। পরে সেই প্রবাসীর সহযোগিতায় বাংলাদেশে ফিরে আসে মাসুদ। এসে খোদ্দেল খানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি তালবাহানা ও হুমকি ধামকি শুরু করে।
প্রতারনার শিকার মাসুদ শেখ জানান, এবিষয়ে গওহরডাঙ্গা গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিরা একাধিকবার শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করে দিলেও টাকা ফেরত দেয়নি খোদ্দেল খান । এরপর আমি বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ও ১০৯ ধারায় খোদ্দেল খান ও তার মেয়ে, জামাই সহ ৪ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করি। মামলায় তার স্থাবর/অস্থাবর সম্পতি দুই বার ক্রোপের নির্দেশ দেয় মহামান্য আদালত এবং মামলা করার পর খোদ্দেল খানের জামাই মামুন আর দেশে আসে নাই। তার বাড়ি মোল্লাহাট থানার গাড়ফা গ্রামে। তিনি আরো বলেন, এই মানব পাচারকারীদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে আমার মতো আর কেউ এরকম প্রতারণার শিকার না হয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত খোদ্দেল খানের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।