বাহরাইনকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে শুরু বাংলাদেশের মেয়েদের

0
380

ক্রীড়া ডেস্ক : বাহরাইনকে শুরু থেকে চাপে রেখে একের পর এক গোল করতে থাকে আনুচিং-মারিয়া-শামসুন্নাহারারা। তাতে বড় জয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই শুরু করল বাংলাদেশ।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার বাহরাইনকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেন আনুচিং মোগিনি, মারিয়া মান্ডা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। বাকি চার গোলদাতা সাজেদা খাতুন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, আনাই মোগিনি ও তহুরা খাতুন। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল বাহরাইন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে ৮-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল তারা।
সোমবার প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৬-৩ গোলে হারায় লেবানন। টানা দুই ম্যাচ জেতা দলটির বিপক্ষে আগামী বুধবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। নবম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। আনাইয়ের বাড়ানো বলে আনুচিংয়ের নেওয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
দ্বাদশ মিনিটে আনাইয়ের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে এই ডিফেন্ডারের ক্রস গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়। চার মিনিট পর অধিনায়ক মারিয়ার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ডি-বক্সের ওপর থেকে এই মিডফিল্ডারের শট গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায়।
১৯তম মিনিটে আনাইয়ের বাড়ানো বলে শামসুন্নাহারের শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লাগার পর বল এসে পড়ে আনুচিংয়ের পায়ে। ছোট ডি-বক্সের ওপর থেকে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৩৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করে নেয় বাংলাদেশ। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ঋতুপর্ণা চাকমার শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর ফিরতি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আনুচিং। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ। আনাইয়ের ক্রসে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেডে পরাস্ত গোলরক্ষক।
যোগ করা সময়েই গোলের দুটি দারুণ সুযোগ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের। মনিকা চাকমার বাড়ানো বলে মারিয়ার নেওয়া শট গোলরক্ষক ফিস্ট করার পর ক্রসবারে লেগে ফিরে। এরপর ছোট ডি বক্সের একটু ওপর থেকে আনুচিংয়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঋতুপর্ণার শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়াতে দেননি বাহরাইন গোলরক্ষক জাহরা নেজার আলি। একটু পর মারিয়ার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৫৫তম মিনিটে আঁখি খাতুনের বাড়নো বল নিখুঁত শটে জালে জড়িয়ে দেন আনুচিংয়ের বদলি নামা ফরোয়ার্ড সাজেদা।
দুই মিনিট পর স্কোরলাইন ৭-০ করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। প্রথম প্রচেষ্টা গোলরক্ষক ফেরানোর পর ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ৫৮তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ঢোকা শামসুন্নাহার জুনিয়রকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পান ডানা বাসেম। শামসুন্নাহার সিনিয়রের স্পট কিক গোলরক্ষকের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ৭১তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া কোনাকুনি শটে ব্যবধান আরও বাড়ান। ৮০তম মিনিটে তহুরা খাতুনের গোলে স্কোরলাইন হয় ১০-০।