বাগেরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে হামলা-ভাংচুর, আহত-৩

0
188

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লার বাড়ি এবং নির্বাচনি অফিস ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার বনগ্রাম ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রিপন দাসের নির্দেশে শতাধিক সন্ত্রাসীরা এই হামলা করে। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লার অন্তত ৩জন কর্মী আহত হয়েছেন। পরে মসজিদের মাইকের ঘোষনা শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ৫টি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লা বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন নির্বাচনী অফিসে বসে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করে ৬০ থেকে ৭০টি মোটরসাইকেলের বহর বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে।প্রবেশের সময় মসজিদের লাইট ও মসজিদের সাথে বাড়ির গেট ভাংচুর করে। এসময় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী রিপন দাসের জয় হোক, রিপন দাস ভয় নেই বলে ¯েøাগান দিতে থাকে। আমাদের অফিসে প্রবেশ করে ভাংচুর শুরু করে।এনাম মজুমদার, আসাদ মোল্লা, কামরুল মোল্লা নামের আমার তিন কর্মীকে মারধর করে। আমরা সবাই ডাক চিৎকার দিলে মসজিদে থাকা ইমাম সাহেব মাইকে ঘোষনা দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হুমকী দেয়।আমি নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ এবং এই ন্যাক্কার জনক হামলার সুষ্ঠ বিচার চাই। মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আবু সাইদ বলেন, এশার নামাজের পরে মসজিদের ভিতর কয়েকজন মুসল্লীদের নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করে অনেকগুলো মোটরসাইকেল এসে মসজিদের সামনের লাইট ভাংচুর করে, ¯েøাগান দিতে থাকে।ভয়ে মসজিদের ভিতর থেকে গেট বন্ধ করে দেই। ভিতর থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জব্বার মোল্লাসহ লোকজন বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। আমি উপায়ন্ত না পেয়ে মাইকে ঘোষনা দেই, এলাকাবাসী চলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় আলাউদ্দিন মোল্লা, মোঃ কবির শেখে ও মানিক লাল তেহরী বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচনের মত।ভোটাররা তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবেন। কিন্তু একজন প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, মসজিদ ও অফিস ভাংচুর এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন তারা। হামলার ঘটনা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, বনগ্রাম এলাকা থেকে র‌্যালি শেষে রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে জব্বার মোল্লার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার ৩-৪ কর্মী আহত হয়েছেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, হামলার ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দূর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সারারাত পুলিশ মোতায়েন ছিল চেয়ারম্যান প্রার্থী জব্বার মোল্লার বাড়িতে।এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি, আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।