বাগেরহাটের হাড়ী খালী জমাজমি বিরোধে সংঘর্ষ, আহত ৩

0
251

বাগেরহাট প্রতিনিধি: জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাগেরহাট শহরের হাড়িখালী এলাকায় বুধবার সকালে সংঘর্ষ হয়েছে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো শহরের হাড়িখালি পশ্চিম পাড়া এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে সেখ রেজাউল (৪৬) তার বড় ভাই রাজা সেখ (৫০) ও প্রতিপক্ষ একই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার সেখের ছেলে হাবি সেখ (৪৫)।
হাবি সেখ ও রেজাউল সেখ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি হলেও পুনঃ হামলার ভয়ে রেজাউল হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। তবে হাবি সেখের দুই পায়ে ও হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়।তার অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সুত্র ও স্থানীয়রা জানান। এ খবর পেয়ে বাগেরহাট মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়নি।
হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিবেশী গোলাম রসুল এর পরিবারের সাথে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দির্ঘ দিন ধরে কোর্টে মামলা চলমান। ওই মামলায় নিম্ম কোর্টে আমি একবার রায় পেয়েছি এবং আমার দখলে। আমার প্রতিপক্ষ গোলাম রসুলের দুই ছেলে জোর করে আমার ওই জমি থেকে ফসল তুলতে গেলে আমি বাধা দিই । এতে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম রসুলের ছেলে রেজাউল ইসলাম ও রাজা ও থাদের লোক জনেরা আমার উপর ধারলো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এলোপাথাড়ী ভাবে আমার হাত ও পায়ে কোপায়। একপর্যায়ে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে রেজাউল ও রাজা পালিয়ে যায়। আমাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ দিকে হাবিুরের প্রতিপক্ষ রেজাউল জানায়,কোটে মালমলা চলমান,আমাদের পক্ষে কোর্ট ১৪৪ ধারা জারী করেছে, তারপরও কোর্টের ১৪৪ ধারা অমান্য করে আমার বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করে নিয়েছে হাবি শেখ। আমাদের ওই জমিতে আমরা গেলে হাবিব তার লোকজন ও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বাধা দেয়, এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ি। আমি ও আমার ভাই রাজা শেখ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে হাবিবের পক্ষের লোকজন আমাদের উপর হামলার জন্য তেড়ে আসলে আমরা পুরায় সংঘর্ষ এড়াতে হাসপাতাল ত্যাগ করেছি।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মোঃ মাহাতাব উদ্দিন জানান, জমি নিয়ে বিরোধে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে হাড়িখালি মসজিদের মোড় এলাকায় দুই পক্ষ মারামারি করেছে। এ খবর পেয়ে থানা থেকে দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। উভয় পক্ষকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।