বাগেরহাটের ফকিরহাট পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ

0
320

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, কর্তব্যে অনিয়ম ও অধীনস্থদের সাথে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করা হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে গতমাসে দেয়া অভিযোগে উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাসুদা খানম ও নলধা ইউনিয়ের শ্যামল চন্দ্র পাল জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলার গোদাড়া পরিবার পকিল্পনা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে খুটি ও সরঞ্জাম ক্রয় বাবদ ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারী খাত হতে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ এনে তা আত্মসাত করা হয়।পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দিলদার হোসেন অধিদপ্তরের কর্মতাদের আদেশ নির্দেশ ও মানেন না। মাঠ পর্যায়ে কারও বদলী হলে ছাড়পত্র প্রদানের জন্য নানা অজুহাতে অনৈতিক অর্থ দাবী ও হয়রানী করে আদায়করে বলে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। টিএ বিলের জন্য অডিটসহ উর্দ্ধতন কর্মকতাদের নামে ও বিল পাশ করাতে ৩০% কমিশন আদায় করেন। যা সঠিক তদন্ত হলে প্রমানিত হবে। এরপর রয়েছে তার অধিনে কর্মরতদেরকে নানা অজুহাতে হয়রানীসহ যৌন নির্যতনের অভিযোগ। বদলী জনিত কর্মচারীরা ছাড়পত্র নিতে গেলে মোঃ দিলদার হোসেন তালবাহানা করে অনৈতকি অর্থ আদায় করেন। জিপিএফ এর আবেদন করলে সেখানেও তাকে অনৈতিক অর্থ না দিলে আবেদন গ্রহন করে না। একাধিক অভিযোগকারীরা কর্মক্ষেত্রে জাটিলতা হতে পারে এই আশংকায় নাম না বলার শর্তে এ প্রতিবেদক কে বলেন, মোঃ দিলদার হোসেন ফকিরহাট উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলার পিলজঙ্গ ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কল্যান কেন্দ্রের একজন আয়া তার লালনার স্বীকার হয়ে অন্যত্র বদলী হয়ে যায়। উপজেলা মুলঘর ইউনিয়নের গোদাড়া কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন সেবার অযোগ্যা থাকায় পরিদর্শনের নামে ফাঁকা পেয়ে একজন নারী ষ্টাফ কে যৌন হয়রানী করা হয় বলে অভিযোগ আছে। অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগী অফিসের একজন কর্মচারীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তার অধিনস্থদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলেও অভিযোগ করা হয়। নিজেকে বিসিএিস ক্যাডার দাবী করে তিনি এ ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি লাগামহীন ভাবে করে চলেছেন বলে প্রচার পেয়েছে। তার বিরদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ বানোয়াট দাবী করে মোঃ দিলদার হোসেন বলেন, পরিবার পরিকল্পনা কল্যান কেন্দ্রগুলিতে কর্মরতরা সরকার নির্দেশিত সেবাদানে অনিয়ম দুর্নীতি করে। অনেকে ডিউটি ঠিকমত করেনা। যা নিয়ন্ত্রনে আমি একটু বেশী বেশী পরিদর্শন করি। এতে কতিপয় কর্মচারী বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সরবারহ করছে। ওই অভিযোগ সত্য হলে অধিদপ্তর আমাকে একাধিক উপজেলার দায়িত্ব পালন করতে দিত না। কারন আমি জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার দায়িত্ব পালন করেছি।