বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার তনিমা রায় তনু’র ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

0
489

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার তনিমা রায় তনু’র গতকাল বুধবার ছিল ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের ৮ মে মাত্র ২৫ বছর বয়সে প্রতিভাময়ী এ গীতিকারের অকাল মৃত্যু ঘটে। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিক ভাবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন কার্যাদী পালন করা হয়।
গীতিকার তনিমা রায় তনু ১৯৭৪ সালের ২১ জুলাই খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামে এক শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা নারায়ণ চন্দ্র রায় ছিলেন সরকারি বটিয়াঘাটা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের স্বনামধন্য গীতিকার। মাতা সন্ধ্যা রাণী রায় (এমএ) গৃহিনী।
তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে জলমা চক্রাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তৎসংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরে বটিয়াঘাটা থানা হেড্ কোয়ার্টার পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তী হন। তিনি ১৯৯১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ছিলেন। বটিয়াঘাটা মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস ১৯৯৩-এ। উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ লাভ করেন। এরপর দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৯৮-এ ইংরেজিতে বি.এ. (অনার্স) পাসের পর এম.এ. অধ্যয়নরত ছিলেন।
শৈশব থেকেই তনু লেখালেখির সাথে জড়িত। ছড়া রচনার ভেতর দিয়েই তাঁর লেখার জগতে প্রবেশ। তাঁর অনেক ছড়া-কবিতা বেরিয়েছে জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার হিসেবে স্বীকৃতি পান। তাঁর রচিত কিছু গান ষ্টুডিও রেকর্ডে গৃহীত হয়। এছাড়া কন্ঠ সংগীতে তাঁর ছিল অনন্য প্রতিভা।
তিনি ছিলেন এক প্রতিশ্রুতিশীল লেখিকা। কিন্তু জীবনের সীমিত পরিসরে তাঁর প্রতিভা বিকাশের অবকাশ মেলেনি। ১৯৯৯ সালের ৮ মে , ক্ষণজন্মা এই প্রতিভাময়ীর অকাল মৃত্যু রুদ্ধ করে দেয় সব সম্ভাবনার সোনালি প্রত্যাশা। মৃত্যুবার্ষিকীতে আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খি ও সকলের কাছে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।