বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পার্টির খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির মানববন্ধন-সমাবেশ

0
192

খবর বিজ্ঞপ্তি:
বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলসমূহ রাষ্ট্রীয় খাতে রেখেই আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধ, বন্যা উপদ্রæত উপকূলীয় অঞ্চলে স্থায়ী ভেড়ী বাঁধ নির্মাণ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ দফা ও আশু ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে পার্টির খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে ভারতে সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি, এ উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনীতিক, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু প্রয়াত প্রণব মুখার্জীর স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। মানববন্ধন-সমাবেশ কর্মসূচিতে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তৃতা করেনÑপার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড দীপংকর সাহা দিপু, পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, সম্পাদকমÐলীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, সম্পাদকমÐলীর সদস্য কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুর সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, জেলা নেতা কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, ফুলজেলা উপজেলা সভাপতি কমরেড সন্দীপন রায়, সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরিফুর রহমান বাবলু, মহানগর নেতা কমরেড অজয় দে, কমরেড বাবুল আক্তার, কমরেড হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী জেলা সভাপতি প্রভাষক রেওয়ান রাজা, যুবনেতা কৃষ্ণকান্তি ঘোষ, ছাত্র মৈত্রীর জেলা যুগ্ম আহŸায়ক নাজমুল রাকিব উজ্জ্বল প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোভিট-১৯ বরাদ্দকৃত ১০ হাজার কোটি টাকা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যখাতেই রাখতে। চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী-স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত সদস্যদের ও লকডাউন এলাকায় আলাদা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, স্বাস্থ্যকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকালে সকলের জন্য টেস্ট ফ্রি করতে হবে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রণোদনা, শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের ফ্রি ল্যাবটপ, মোবাইল ও ইন্টারনেট সারচার্জ ফ্রি করতে হবে। কৃষিকে বাঁচাতে কৃষকের উদ্বৃত্ত পণ্য সরকারকেই কিনে নিতে হবে, কৃষি যন্ত্রপাতি সমবায় ভিত্তিতে প্রদান করতে হবে। করোনাকালীন সামাজিক নিরাপত্তাবলয় বৃদ্ধি করে গরীব-মধ্যবিত্তদের রেশনের আওতায় আনতে হবে। বক্তারা বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলসমূহ রাষ্ট্রীয় খাতে রেখেই আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করার দাবী জানান।