বরিস জনসনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তরুণ আলী মিলানি

0
246
Ali Milani, the British Labour Party's prospective parliamentary candidate in Uxbridge and South Ruislip, poses for a photograph while canvassing in the Eastcote area of London on December 7, 2019. - Ali Milani didn't speak English when he came to Britain from Iran at the age of five. Twenty years later, he's the biggest individual threat to Boris Johnson at this week's election. The 25-year-old candidate for the main opposition Labour party is trying to unseat the prime minister in his Uxbridge and South Ruislip constituency in west London. (Photo by Niklas HALLE'N / AFP) / TO GO WITH AFP STORY BY PAULINE FROISSART

খুলনাটাইমস বিদেশ : পাঁচ বছর বয়সে ইরান থেকে যখন ব্রিটেনে পাড়ি জমান, তখন ঠিকমতো ইংরেজিও বলতে পারতেন না আলী মিলানি। ২০ বছর পরে আসছে জাতীয় নির্বাচনে তিনিই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। পশ্চিম লন্ডনে উক্সব্রিজ ও সাউথ রুইস্লিপ আসনে বরিসকে হারাতে বিরোধী দল লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হলেন ২৫ বছর বয়সী এই যুবক। নির্বাচনী প্রচারে এই তরুণ রাজনীতিবিদ এখন খুবই আশাবাদী। জনসনের কাছে পরাজয় অচিন্তনীয়। নিজেকে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন মিলানি। বিরোধীদের যতটা বেশি ভোট নিজের কাছে টানা যায়, তিনি সেই চেষ্টাই করছেন। ইরানে জন্ম নেয়া মিলানি উত্তরপশ্চিম লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের ছায়ায় সামাজিক আবাসিক এস্টেটে বেড়ে উঠেছেন। লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন তার চেয়ে ৩০ বছরের বড়। এ ছাড়া বিখ্যাত ইটন কলেজের ছাত্র ছিলেন বরিস, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিক ও ল্যাটিনও পড়েছেন তিনি। বিপরীতে উক্সব্রিজের মডার্ন ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন আলী মিলানি। তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি। এ ছাড়া জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ নেতা ছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ব্রেক্সিটই বেশি গুরুত্ব পাবে। কিন্তু স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যু সামনে চলে আসবে। এতে নিজ আসনে জনসনের কম উপস্থিতি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আইটি নিয়ে কাজ করা ৪২ বছর বয়সী মাইকেল ফ্রিইটাস বলেন, এটা সবসময় কনজারভেটিভদের আসন ছিল। কিন্তু স্থানীয় হাসপাতালের সেবায় লোকজন অসন্তুষ্ট। আলী মিলানি নাকি লিবারেল ডেমোক্র্যাটসদের ভোট দেবেন, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা এই যুবক আরও বলেন, তরুণদের অবস্থা খুব একটা ভালো না। উক্সব্রিজে জনসনের উপস্থিত হওয়ার অপারগতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মাইকেল ফ্রিইটাস বলেন, স্পষ্টত, তিনি স্থানীয় লোকজনের প্রতি অবহেলা করেছেন। ক্যাথরিনা নক্স নামের এক অভিনেতা ও লেখক বলেন, স্থানীয় বিষয়গুলোকে বেশি স্পর্শ করতে পেরেছেন মিলানি। তরুণ ভোটারদের চিন্তায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। মিলানির জয়কে অসম্ভব বললেও তাকে ওড়িয়ে দিচ্ছে না নক্স। লন্ডন মেয়র হওয়ার আগে টরিদের নিরাপদ আসন হেনলি থেকে এমপি হয়েছিলেন বরিস।