‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আনিছুর ‘অন্যের জমিতে কাজ করতেন;সংবাদ সম্মেলনে দাবি নিহতের স্ত্রী নাজমা খাতুন

0
527

টামইস্ ডেস্ক:

কথিত বন্দুকযুদ্ধে গত ২৯ মে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত সুরুত আলীর ছেলে আনিছুর রহমান নিহত হন। পুলিশের দাবি আনিছুর একজন মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু নিহতের স্ত্রীর দাবি আনিছুর মাছ ধরে ও অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালাতেন।

শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তোলেন নিহতের স্ত্রী নাজমা খাতুন। এ সময় নাজমা বলেন, কলারোয়ার পাকুড়িয়া গ্রামে দেড় কাটা জমির ওপর একটি কুড়েঘরে দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন আনিছুর। জমি-জমা না থাকায় তিনি নদীতে মাছ ধরে ও অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালাতেন।

‘গত ২৮ মে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলারোয়ার খোরদো পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই এজাজ মাহমুদ ও এএসআই তরিকুলসহ সাদা পোশাকে চার পুলিশ সদস্য আমার স্বামী আনিছুরকে হাতকড়া পরিয়ে ও সাদা গেঞ্জি দিয়ে চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যায়। পরে খোরদো পুলিশ ক্যাম্প ও কলারোয়া থানায় খুঁজতে গেলে তাকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানায়। এরপর থানায় জিডি করতে গেলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জিডি না নিয়ে ২/৩ দিন অপেক্ষা করতে বলেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিকে পুলিশ কথিত বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে চিতলার মাঠে গুলি করে হত্যা করেছে।’

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নাজমা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে নাজমা খাতুনের সঙ্গে নিহতের ভাই অজিয়ার রহমান গাজী, ছেলে রিয়াজ হোসেন ও মেয়ে রিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নাজমা খাতুনের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে ঘটনার দিন তিনি জানিয়েছিলেন, ‘মাদক ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে চিতলা এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দ শুনে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আনিছুর রহমানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ ওয়ান শুটার গান ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আনিছুরের বিরুদ্ধে থানায় মাদকের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।’