বন্দর টার্মিনালে প্রবেশ ফি আরোপের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

0
300

খুলনাটাইমস: বন্দর এলাকায় টার্মিনালে প্রবেশের ফি ৫ টাকা ও ১০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৮ এর ১৯(২)(সিসি) অনুসারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিআইডব্লিউটিএ-এর এই ফি নির্ধারণ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে নৌ-সচিব, আইন সচিব, অর্থ সচিব, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান, সচিব, পরিচালক (অর্থ), যুগ্ম পরিচালক, উপ-পরিচালক (বন্দর) ও ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু তালেব। আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রুল জারির পর আবু তালেব জানান, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সচিব কাজী ওয়াকিল নওয়াজ স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে ‘বন্দর এলাকায় আদায়যোগ্য শুল্ক (টার্মিনাল প্রবেশ ফি)’ শীর্ষক কলামে বলা হয়, বরিশাল, চাঁদপুর, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা নদী বন্দরে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের জন্য মাথাপিছু প্রতিবার (প্রবেশ ফি ৮ টাকা ও যাত্রীকল্যাণ তহবিল দুই টাকা) ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর আরিচা, শিমুলিয়া, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, দৌলতদিয়া, নগরবাড়ী, কাজীরহাট, নরাদহ, টঙ্গী, কক্সবাজার, চরজানাজাত, মেঘনাঘাট, মীরকাদিম, ছাতক, ঘোড়াশাল, ফরিদপুর, চিলমারী ও অন্যান্য নদী বন্দরে (ভবন ব্যতীত বা আধাপাকা টিনশেড ভবনের টার্মিনাল টিকিট) টার্মিনাল প্রবেশের জন্য মাথাপিছু প্রতিবার ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তিনি বলেন, ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৮ এর ১৯(২) (সিসি) অনুসারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিআইডব্লিউটিএ এই ফি নির্ধারণ করতে পারে না। এটি সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘সংসদের কোনো আইনের দ্বারা বা কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাইবে না।’ তাই এটি বাতিল চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা ফি অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা চেয়ে আবেদন করি। আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। এর আগে ২ অক্টোবর সংশ্লিষ্টদের কাছে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নোটিশের কোনো জবাব পাননি বলে জানান আবু তালেব।