বটিয়াঘাটা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে চলছে জাল দলিলের মহোৎসব!

0
809

নিজস্ব প্রতিনিধি :
বটিয়াঘাটা উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি দলিল লেখক ও পেশকার এর সহযোগীতায় চলছে জাল দলিলের মহোৎসব। এতে জালিয়াতী চক্র, দলিল লেখক ও তাদের সহযোগী পেশকার সিন্ডিকেট তৈরী করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। যার ফলে ভুক্তভোগীরা তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এ সকল দুর্নীতি দেখার জন্য সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন দায়িত্ব থাকলেও বটিয়াঘাটায় তাদের কোন কার্যক্রম এ পর্যন্ত কার নজরে পড়েনি।

অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, উপজেলা জলমা ইউনিয়নের ঝড়ভাঙ্গা গ্রামের বিনোদ বিহারী গোলদারের মৃত্যুর পর তিন পুত্র হরিদাস গোলাদার, কৃষ্ণপদ গোলদার ও রুইদাস গোলদারকে ওয়ারেশ রাখিয়া যান। উক্ত ওয়ারেশগনের মাতা সুষুমা বালা গোলদার, স্বামী- বিনোদ বিহারী গোলদার রাঙ্গেমারী মৌজায় সাবেক -৭ নং খতিয়ানে এস,এ ৮৩/২ খতিয়ানে ২/৩ অংশে দাতা যথাক্রমে ঝড়ভাঙ্গা গ্রামের ফণিভূষনের পুত্র নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার ও উপেন্দ্রনাথ গোলদারের পুত্র পরিতোষ গোলদার গত ৩১/০৫/৬৯ তারিখে ২২৫০ নং কবলা দলিলে ১ একর সম্পত্তি খরিদ করে। উল্লেখ থাকে যে, আর,এস জরিপে উক্ত জমি একই এলাকার সুষমা গোলদার ওরফে রায় পিতা-বিনোদ গোলদার এবং স্বামী মহানন্দ রায় এর নামে ভুল বশত ০.৬০৫০ একর জমি রের্কড হয়ে যায়। উক্ত জমি রের্কড বনিয়াদে বটিয়াঘাটা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মোল্ল্যা মুসা যার রেজিস্ট্রেশন  নং ২০/১০ এবং পেশকার শ্যামল কুমার মন্ডলের সহযোগীতায় একটি সংঘবদ্ধ ভূমি জালিয়াতী চক্র শান্তি নগর এলাকার আব্দুলগনি হাওলাদারের পুত্র আসাবুর হাওলাদার ও তার ভাই লিটন হাওলাদার মিলে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ভুল তথ্য পরিবেশন করে সুষমা রায়, স্বামী- মৃত মহানন্দ রায় এর পুত্র মনোজ রায় অন্য ৪ ভাইকে অনুস্থিত রেখে একটি ওয়ারেশ কায়েম সনদ পত্র নিয়ে গত ২৩/০১/২০১৮ তারিখে সুষমা রায়ের ধর্মান্তরিত বোন রোজিনা পারভীন (মায়া) এর নামে ৫৮৮ নং পাওয়ার অব অ্যার্টনী দলিল সৃষ্টি করে। যার বনিয়াদের পিট দলিল হিসাবে ২২৫০ নং দলিলের পরিবতীতে ১২০৯৪ নং দলিল ব্যবহার করে যা খুলনা দৌলতপুর এক স্কুলের নাম দেখা যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানা জানি হলে উক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলটি সাব-রেজিষ্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ তার দাপ্তরিক আলমারিতে বন্দি করে রাখে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরীকে অবগত করেন।