বটিয়াঘাটায় জাল-জালিয়াতির গোমর ফাঁস ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান

0
338

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
অবশেষে বটিয়াঘাটা সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে জাল দলিল করতে আসার গোমর খুলেছে। জ্বালিয়াতি চক্রের মুল হোতা খুলনা রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক মোঃ তারিকুল ইসলাম মামলার বাদী হতে এসে নিজেই আসামী হয়ে এখন শ্রীঘরে। এ ব্যাপারে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়া জমিরা প্রকৃত মালিক রবীন্দ্রনাথ সরকার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামল নং-০৯, তারিখ ১৪/১১/২০১৯।
সূত্রে প্রকাশ, খুলনা সদরের দলিল লেখক মোঃ তারিকুল ইসলামসহ ৪ জন গ্রহীতা উপজেলার শৈলমারী মৌজায় বিকাশ সরকার ও কৃষ্ণপদ সরকার গংদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করার উদ্দেশ্যে ৪ জন গ্রহীতা মিলে দলিল লিখে সাব-রেজিষ্ট্রারের সামনে দাখিল করে। সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন দাতাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ সরকারের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সন্দেহ হলে জমা দেওয়া আইডি কার্ডটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠায়। কিন্তু আইডি কার্ডটি রবীন্দ্রনাথের না হওয়ায় তিনি থানার ওসি মোঃ রবিউল কবিরকে বিষয়টি মোবইল ফোনে অবহিত করেন। ধুরন্ধর তারিকুল ইসলাম, বায়েজিদ হোসেন, আশরাফুজ্জামান বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ভূয়া রবীন্দ্রনাথ সাজানো ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে দাতাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের অপর দুই ভাই কৃষ্ণপদ ও বিকাশ সরকার সহ অপর গ্রহিতা ইউনুছ আলী সরদার পুলিশের উপস্থিতিতে আটক হয়। জটিলতার থেকে রেহাই পেতে সু-কৌশলী দলিল লেখক ও জমি গ্রহীতা তারিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় থানায় মামলা করতে গেলে জমির প্রকৃত মালিক রবীন্দ্রনাথ সে বিষয়ে খবর পেয়ে তার নিজের পরিচয়পত্র নিয়ে থানায় হাজির হয়। রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীতে থানার ওসি মোঃ রবিউল কবির ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক আহম্মেদ কবিরের নিকট জানিয়ে তিনি নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঐ সময়ই চক্রের মুল হোতা দলিল লেখক তারিকুল ইসলাম সহ দুপুরে আটক হওয়া অন্য ৩ আসামীকে আটক দেখিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -১ এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তি মূলক জবানবন্দি শেষে জেল হাজতে প্রেরণ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক স্বপন কুমার পাল।