বটিয়াঘাটায় খলসিবুনিয়া জিপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাফল্য ধরে রাখতে নানা উদ্যোগ

0
322

আছাদ জাহিম সোয়াব: খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে খলসিবুনিয়া জিপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ধাবাহাকি সাফল্য ধরে রাখতে নানা উদ্যেঠস গ্রহন করেছেন। গত বছরে এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটিতে শতভাগ পাশ করে বটিয়াঘাটায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠানের ১১ জন শিক্ষক তাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে পাঠদাস কার্যক্রম সফলভাবে করে চলেছেন। জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে দানবীর স্বর্গীয় সত্যেন্দ্রনাথ রায় সহ অত্র এলাকার উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ব্যক্তির সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানটি জন্ম হয়। গত বছরে এস এস সি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটিতে শতভাগ পাশ করে উপজেলা মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ৩৪০ জন শিক্ষার্থীদেও জন্য বর্তমানে ১১জন শিক্ষক তাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম সফলভাবে করে চলেছেন। ঐ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫ তলা ভবনের নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। জানা যায়, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাশের ধারা অব্যহত রাখতে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের সন্তানরা তাদের মায়ের নামে নিজেদের উপার্জিত অর্থ থেকে “শুভাষী শিক্ষা বৃত্তি” প্রকল্প চালু করেছে। শিক্ষাবৃত্তির সাড়ে ১২ হাজার টাকা ১৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীর মাঝে প্রতি বছর প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুশীলাল রায় ও গৌর হরি বৈরাগী অবসরে যাওয়ার পরেও তাদের বিবেকর তাড়নায় ও ছাত্র/ছাত্রীদের ভালবাসায় কথা বিবেচনায় রেখে তারা নিয়মিত শ্রেণীকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। ৮ম শ্রেণির ছাত্র আল রাব্বি বলে, প্রতিদিন সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত না হলে শিক্ষকগণ অভিভাবকদের কাছে অবহিত করেন। শিক্ষকরা ক্লাসের বাইরেও আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেন। প্রতিদিন লেখাপড়ার ছাড়াও ১টি বিশেষ বিষয় বস্তুর উপর সংক্ষিপ্ত ধারনা প্রদান করেন। এতে করে আমরা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়র শিখতে পারি। মোট কথা প্রতিনিয়ত ক্লাস এবং পড়া করে না আসলে শিক্ষকদের বকুনী শুনতে হয়। যে কারনে আমরা চেষ্টা করি প্রতিদিনের পড়া তৈরী করে আসতে। সার্বিক বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শশাংক শেখর ঢালী বলেন, সর্ব প্রথম মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় হুইপ বাবু পঞ্চানন বিশ^াস ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খানকে ধন্যবাদ জানাই, উপজেলার মধ্যে সব থেকে বড় ভবনটি অর্থাৎ ৫ তলা ভবনটি আমার প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। আমার এই প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা এবং সমগ্র প্রতিষ্ঠানটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রন করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। গত বছর আমার প্রতিষ্ঠান এস এস সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করেছে। সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭২-৭৩ শিক্ষবর্ষের একজন ছাত্র জার্মানী বৃমেন বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. বিভূতী রায়, এছাড়া ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র দেবাশীষ রায় খাদ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মরত রয়েছেন, ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র মোঃ কামরুল ইসলাম সিলেটে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছে, একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ডাঃ পৃতিশ তরফদার ও ডাঃ পলাশ তরফদার সরকারী হাসপাতালে কর্মরত আছে, এছাড়া দীর্ঘ ৩৪ বছর পর উপজেলা পর্যায়ে জোনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।