বটিয়াঘাটার বিভিন্ন নদী থেকে প্রকাশ্য চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

0
150

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
সরকারের বিধি নিষেধ অমান্য করে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার সিমান্তবর্তী নদনদী থেকে অবাধে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। খুলনার একটি বালু সিন্ডিকেট এই অবৈধ বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
বটিয়াঘাটার বিভিন্ন নদ নদী থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। কোনভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না এই সিন্ডিকেট চক্র। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সিন্ডিকেট চক্র দিনরাত নদী থেকে বালু উত্তোলন করে চলেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে,তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। শুধু তাই নয় উপজেলা বিভিন্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন কারী সিন্ডিকেট চক্র প্রশাসনকে মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু সিন্ডিকেট চক্রের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকি থানা ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে। আপনারা এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। খুলনা জেলার পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, রুপসা সহ বিভিন্ন উপজেলার নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র বটিয়াঘাটা উপজেলার বালু সিন্ডিকেট চক্রদের কিছুই হচ্ছে না। প্রশাসন তাদের সাথে সখ্যতা করে চালিয়ে যাচ্ছে এই বালুর ব্যবসা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে তারা প্রশাসনকি এখন বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত? সচেতন মহল এই বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকা কথিত এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী, সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ তারা বালুর মাঠ লীজ নিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
উপজেলার বারআড়িয়া ভদ্রা নদী, বটিয়াঘাটা সদরের শিবসা নদী, ডুমুরিয়া উপজেলার গেংরাইল নদী, বটিয়াঘাটা শৈলমারী নদীসহ বিভিন্ন নদ নদী থেকে বালু সিন্ডিকেটরা বালু উত্তোলন করে চলেছে।
বারআড়িয়া এলাকার আকবার হোসেন (ছোট) এই বালু চক্রের সহযোগিতায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে বলে একাধিক সুত্রে জানায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলার নদীথেকে ড্রেজারের মাধ্যমে নদীতে জোয়ারের সময় বালু উত্তোলন করছে। পাইকগাছা উপজেলার ফুলবাড়ি বাজার নামক স্থানে ওই বালিচক্র সদস্যদের ড্রেজারের মাধ্যমে বোর্ডে করে বালু দিতে দেখা যায়। এ বিষয় বোট মালিক লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারোআড়িয়ার ছোটর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বালু ভরাট করছি। রায়পুর এলাকার রফিকুল ও আলতাফ জানান,প্রতিদিন সকালে এবং মধ্য রাতে দুটো বোট ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে। রায়পুর ও বারোআড়িয়া ভদ্র নদীথেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। যেখান থেকে বালু উত্তোলন করছে তার ঠিক কাছেই বারআড়িয়া ও বিগরদানা দুটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে।