বটিয়াঘাটাবাসী চার দিন যাবৎ বিদ্যুৎহীন

0
295

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে বটিয়াঘাটায় গত ৪ দিন যাবৎ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের অভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অফিস আদালতের কাজ কর্ম, ফ্রীজে মালামাল, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও পল্ট্রি খামার সহ যাবতীয় কাজ-কাম বন্ধ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে ঘর বাড়ি গাছ-পালা, আমন ধানের ফসল, মৎস্য খামার, শীতকালীন সবজী সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুলবুলের প্রভাবে বেশী ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুতের।
গত কয়েক দিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিরতিহীন ভাবে কাজ করেও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও সব জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ দিতে পারেনি। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাথে যোগাযোগের করলে জানান সব এলাকায় সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে আরো সময় লাগবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ করলে তিনি জানান সমগ্র উপজেলায় ১ হাজার ১০টি বসতঘর, সর্ম্পূণ বিনষ্ট সহ ৩ হাজার ৩ শত ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উপজেলা ৭টি ইউনিয়নে ১ শত ৭৪ হেক্টর জমির আমন ফসল, ৪২ হেক্টর রবিশস্য ৩৫ বিঘা পেঁপের ক্ষেত ও সাড়ে ৫ হেক্টর কলার ক্ষেতের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা। অন্যদিকে উপজেলা সিনিয়ার মৎস্য কর্মকর্তা জানান ৭টির মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে ১ শত ৬২ হেক্টর জমির উপর ৪ শত ৫৫টি মৎস্যঘেরের ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা। অপরদিকে উপজেলা সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তার কাছে গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি জানান আমি এখনও পর্যন্ত কোন তালিকা প্রস্তুত করিনি। তবে ঘূণিঝড় বুলবুলে এ উপজেলায় সব চেয়ে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে গাছা-গাছালির। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ জিয়াউর রহমান এর সাথে যোগযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব থেকেই মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুত গ্রহণ করেছিলাম। এ লক্ষ্যে উপজেলা কন্টোলরুম, আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা, মাইকিং, শুকনো খাবার সামগ্রী বিতরণ। ঝড়ের পরবর্তীতে প্রত্যেক ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতির সমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক স্ব-স্ব চেয়ারম্যান সহ সংশিষ্ট দপ্তরকে তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।