বঙ্গোপসাগরে শতাধিক জেলে এখনও নিখোজ, উদ্ধারে কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনীর অভিযান

0
535

মোংলা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫টি মাছ ধরার ট্রলারসহ শতাধিক জেলে এখনও নিখোজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে দেড়’শ জেলে-মাঝিমাল্লা। নিখোজ বাকী ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ড এবং নৌ বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সাগর থেকে ফিরে আসা জেলে-মাঝিমাল্লা, বরগুনা জেলা মৎস্যজীতি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও কোস্ট গার্ড’র অপারেশন অফিসার লে: জাহিদ আল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর সাগরে অন্তত ১৫টি ফিসিং ট্রলার ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই সকল ট্রলারে থাকা শতাধিক জেলেকে আশপাশের ট্রলারগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও এখন পর্যন্ত নিখোজ রয়েছেন আরো প্রায় দেড়শ জেলে-মাঝিমাল্লা। শতাধিক জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও কোন ট্রলার উদ্ধার করা যায়নি।

নিখোজ ওই সকল ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ডের কচিখালী ও দুবলা ষ্টেশনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন’র (মোংলা) অপারেশন অফিসার লে: জাহিদ আল হাসান। তিনি আরো বলেন, কচিখালী ষ্টেশনের অভিযানে বৃস্পতিবার রাতে সাগর সংলগ্ন বাদামতলা এলাকা থেকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকা ১টি ট্রলার ও ৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা সুস্থ্য রয়েছেন। তাদের বাড়ী পটুয়াখালী এলাকায়। উদ্ধার হওয়া ট্রলারের মাঝি হলেন পটুয়াখালীর নুর আলম।

বরগুলা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, বরগুনার ছগির পালোয়ানের এফ,বি আরমান, আহম্মদ মিস্ত্রীর এফ,বি তাজেনুর, দুলালের এফ,বি মায়ের দোয়া ও খলিলের এফ,বি মীমসহ ১৫টি ট্রলার ডুবেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই ৪টির মধ্যে আরমান ট্রলারের ৪ জেলে এখনও নিখোজ রয়েছেন। বাকী তিন ট্রলারের জেলে উদ্ধার হলেও একটি ট্রলারও উদ্ধার করা যায়নি। এখনও বিভিন্ন ট্রলারের দেড়’শর মত জেলে নিখোজ রয়েছেন। নিখোজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

তবে এখন পর্যন্ত সাগর থেকে কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনী কোন জেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি। যে সব জেলে উদ্ধার হয়েছে তাদেরকে আশপাশের অন্য ট্রলার ও জেলেরাই উদ্ধার করেছেন বলেও জানান তিনি। নিখোজ ওই সকল ট্রলার ও জেলেদের বাড়ী বরগুনার বিভিন্ন এলাকায়। সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবি ও জেলে নিখোজের পর থেকে অন্য সকল জেলেরা নিরাপদে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে এসেছেন। কেউ কেউ সাগর-সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে আশ্রয় নিয়েছেন।