বঙ্গবন্ধু বিপিএল : অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন ইমরুল

0
317

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হামেস্ট্রিং ইনজুরিতে। তাই চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ষষ্ঠ ম্যাচে (গতরাতে) দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। এবারের আসরে এই প্রথমবার পুরো ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিলেন ইমরুল। অবশ্য বিপিএলে গেল আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকেও বেশ কিছু ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। গতবারের মত এবারও অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন ইমরুল। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ১৬ রানে জয়ের পর এমন কথাই বললেন ইমরুল। ইমরুল বলেন, ‘গত ম্যাচে শুধুমাত্র ফিল্ডিংয়ে মাঠ পরিচালনা করেছি। এ ম্যাচে পুরো সময় অধিনায়কত্বই করলাম। সব মিলিয়ে খারাপ লাগেনি। উপভোগ করছি। মাঠে অধিনায়কত্ব করলে সব দিকে নজর রাখতে হয়। এটা তখন অভ্যাসে পরিণত হয়। তখন ব্যাটিংটাও আরেকটু ভালো হয়। এটা আমার জন্য খুবই ভালো ব্যাপার।’ ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও চট্টগ্রামের নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর মত উইকেট নিয়ে ইতিবাচক কথাই বললেন ইমরুলও। তিনি বলেন, ‘এমন উইকেটে ব্যাটিং করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ঘরোয়া আসরে আমরা এমন উইকেট খুব বেশি পাই না। এবার উইকেটগুলো খুবই ভালো । এ জন্য ব্যাটসম্যানরাও ভালো খেলতে পারছে, সবাই চেষ্টা করছে। আমিও চেষ্টা করছি আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখার এবং প্রত্যকটা ম্যাচে ভালো খেলার।’ ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। ইতোমধ্যে এবারের আসরে দু’বার দলীয় স্কোর ২শ’র বেশি অতিক্রম করেছে চট্টগ্রাম। দু’টিই নিজেদের মাঠে। আর বোলিং বিভাগে চট্টগ্রামের তুরুপের তাস বাঁ-হাতি বোলার মেহেদি হাসান রানা। ৪ ম্যাচে ১৬ ওভার বল করে ১০৭ রান দিয়ে ১২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এখন অবধি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও তিনি। অথচ এই রানাই বিপিএলের ড্রাফটে ছিলেন না। ড্রাফটের বাইরে থেকে রানাকে দলে নেয়া হয় বলে জানান ইমরুল। এর পেছনে মাহমুদুল্লাহ ও তার নিজের অবদান বেশি ছিলো বলেন ইমরুল, ‘রানার বিষয়ে আমি আর রিয়াদ ভাই একরকম চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। রানা যখন দল পায়নি, তখন আমি আর রিয়াদ ভাই দু’জন আলোচনা করে দলে নিয়েছিলাম তাকে। প্রথমে কেউ ওকে দলে নেয়নি। পরে তাকে আসলে একটি ট্রাম্প কার্ড হিসেবে আমরা দলে নিই। সে নিজের কাজটি অনেক ভালোভাবে করে যাচ্ছে।’ রানার ভবিষ্যত ভালো বলে মনে করেন ইমরুল, ‘আমার বিশ্বাস সে অনেক ভালো করবে এবং ভবিষ্যতে অনেক দূর যাবে সে। আমি এর আগেও রানার সাথে বিপিএল-প্রিমিয়ার লিগ খেলেছিলাম। সেই রানা আর এই রানার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখছি। কারণ আগের রানার আত্মবিশ্বাস ছিল না। তবে এখন তার আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। এখন যদি আমি ওকে বলি যে তুই কি বল করবি, ও আমাকে বলে, ভাই আমি এটাই করবো। ঠিক সেটাই এক্সিকিউটও করে সে। এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা সে আগে করতে পারেনি। আগে মাঠে দুর্বল থাকতো। আমার মনে হয় এই ব্যাপারটি সে পরিবর্তন করেছে, যার জন্য সে এখন হয়তো আরো ভালো করছে।’