ফ্রান্সকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত তারকায় ভরপুর বেলজিয়াম

0
348

স্পোর্টস ডেস্ক:
১৯৮৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলতে নামছে বেলজিয়াম। ৩২ বছর আগে মেক্সিকো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিল রেড ডেভিলসরা। ওই ম্যাচে ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত দিয়েগো ম্যারাডোনার জাদুতে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। দুটি গোল করে ইউরোপের দেশটিকে বিদায় করে দেন দ্য গোল্ডেন বয়।

ফ্রান্সের বিপক্ষে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এইডেন হ্যাজার্ড নেতৃত্বাধীন দলটি।

ডিফেন্স থেকে শুরু করে আক্রমণভাগে দারুণ সব খেলোয়াড় রয়েছেন। ডিফেন্সে ভিনসেন্ট কোম্পানি ও মিউনিয়েররা জমজমাট ভাব বজায় রেখেছেন। আবার সেটপিসে আক্রমণেও উঠছেন।

অন্যদিকে মাঝমাঠে ফেলাইনি, নাসের চ্যাডলি, উইটসেল থেকে শুরু করে আক্রমণে রোমেলু লুকাকু, হ্যাজার্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনেরা যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন।

তবে এদের মধ্যে লুকাকু ও হ্যাজার্ডের উপরেই দল সবচেয়ে বেশি ভরসা রেখেছে। মাঝখান থেকে কখনও ফেলাইনি-কোম্পানিরা সুযোগ বুঝে গোল করে চলেছেন। ফলে আক্রমণভাগ বাদেও অন্যরা বিপদের সময় দলকে উদ্ধার করছেন।

ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় করায় গোলকিপার থিবো কর্তোয়ার ভূমিকা অনেক বেশি। নেইমার, জেসুস, কুতিনহোদের আক্রমণকে পাত্তাই দেননি এই চেলসি তারকা।

রবার্তো মার্তিনেজের দলের অন্যতম শক্তি ডি ব্রুইন। ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা গত কয়েক মৌসুমে ইউরোপিয়ান লিগগুলোর মধ্যে সেরা পাস দাতা হয়ে আসছেন। এবারের বিশ্বকাপে গোল করিয়েছেন একটি। সবশেষ ব্রাজিলের বিপক্ষে চমৎকার একটি গোল করে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন শেষ চারে।

দলের অন্যতম সেরা তারকা লুকাকু। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই স্ট্রাইকার বিশ্বকাপে চারটি গোল করে গোল্ডেন বুটের প্রতিযোগিতায় রয়েছেন।

এদিকে চলতি বিশ্বকাপে দুটি গোল করেছেন হ্যাজার্ড। অসাধারণ পাস আর ড্রিবলিংয়ের জন্য তিনি জগতখ্যাত। মূলত বেলজিয়াম আক্রমণভাগের হৃদপিণ্ড তিনি। সব শেষ ১৪টি ম্যাচে ১৪টি গোলে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা অথবা নিজেই গোল করেছেন দলের অধিনায়ক। তাই কোচ মার্তিনেজের দলের মূল স্তম্ভ হতে চলেছেন চেলসির প্রাণভোমরা।