ফেসবুকে এড. সুজিত অধিকারীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য সরিয়ে ফেলার নির্দেশ

0
280

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারীকে হেয় প্রতিপন্ন করে তার এখতিয়ার নিয়ে ফেসবুকে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করছেন। অনতিবিলম্বে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক ওই সব মতামত ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল দলের দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি’র পাঠানো এক খবর বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনোত্তর খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের আগে ও পরে এই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেও অনেকেরই ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনাও ঘটেছে। দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে কাজ করার দায়ে অনেক নেতাকর্মীকে বাড়িঘর ছাড়া হতে হয়েছে। পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায়আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা মতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সজিত অধিকারীসহ জেলার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলগুলোতে যেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের সাহস যোগান ও দলের পক্ষে সব ধরণের সহযোগীতার আশ^াস দেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের এই ভূমিকা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে হেয় প্রতিপন্ন করে তার এখতিয়ার নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ধরণের বক্তব্য ও মতামত দেয়া দলের শৃংখলা ভঙ্গের সামিল ও তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। পাশাপাশি এই ধরণের মতামত ও বক্তব্য এলাকার সহিংস পরিস্থিতিকে উস্কানি দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের (আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন) অনতিবিলম্বে এই ধরণের আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক মতামত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশনা দেয়া হল, না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।